নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ সেপ্টেম্বর:
রাজ্যে ফের অস্থিরতার আবহ। ত্রিপল ইঞ্জিন সরকারের শরিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দিন দিন প্রকাশ্যে আসছে। বিশেষত বিজেপি ও তিপ্রা মথার সংঘর্ষে জনজীবন ক্রমশ আতঙ্কিত হয়ে উঠছে।
সংঘর্ষের ধারাবাহিকতা
-
সম্প্রতি হেজামারায় বিজেপির বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে হামলা চালায় মথার কর্মীরা। রক্তাক্ত হন বিজেপি জনজাতি মোর্চার সহ সভাপতি মঙ্গল দেববর্মা সহ একাধিক কর্মী।
-
মান্দাইয়ে বিজেপি অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনাতেও আঙুল উঠেছে মথার দিকে।
-
এর আগে খোয়াইয়ের আশারামবাড়ি ও চরিলাম-টাকার্জলা এলাকায়ও সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে আহত হচ্ছেন সাধারণ কর্মীরাই।
দ্বিচারিতা অভিযোগ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একদিকে প্রকাশ্যে সংঘর্ষ আর অন্যদিকে রাতে নৈশ ভোজে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মেলামেশা জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। পাহাড়ে সংগঠন শক্তি না থাকায় বিজেপি মথার ওপর নির্ভরশীল, আবার মথা প্রতিনিয়ত সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিচ্ছে।
জনজাতি সমাজে হতাশা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত চার বছরে এডিসি এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক ও কৃষিক্ষেত্রে কোনো উন্নয়ন দেখা যায়নি।
-
স্কুলে শিক্ষক নেই
-
কৃষকরা সেচের অভাবে কাজ বন্ধ রেখেছেন
-
মানুষকে কুয়োর জল ও মশার কামড়ে দিন কাটাতে হচ্ছে
-
রেগা কাজেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে
ফলে সাধারণ মানুষ হতাশা ও ক্ষোভে ভুগছেন। বিশ্লেষক মহলের মতে, ভোট কাটাকাটির রাজনীতি করে বিজেপিকে ক্ষমতায় বসানোর পর মথা আবারও রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করছে।
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ
ভিলেজ কাউন্সিল ভোটের আগে ফের সংঘর্ষ ও অস্থিরতা যেন নতুন করে রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরির কৌশল। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, “মানুষকে বারবার বোকা ভাবলে তার পরিণতি কী হতে পারে, সময়ই তা বলে দেবে।”