কুড়ি টাকা চুরির অপবাদ দেওয়ায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলো দশমশ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটে সুরমা কেন্দ্রের কুচাইনালা পঞ্চায়েতের কুচাইনালা গ্রামে।
কুড়ি টাকা চুরির অপবাদ দেওয়ায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলো দশমশ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্র। ঘটনা সুরমা কেন্দ্রের কুচাইনালা পঞ্চায়েতের কুচাইনালা গ্রামে। তার নাম রনি দাস (১৬)। সে কমলপুর দ্বাদশ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়তো। ছাত্র হিসাবেও ছিল মেধাবী।
সে গত সোমবার সকালে তার বাবা জুয়েল দাস ‘র কাছ থেকে কুড়ি টাকা নিয়ে গ্রামের ধন সিংহের দোকানে যায়। হটাৎ করে দোকান মালিক তাকে দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে কুড়ি টাকা চুরি করেছে বলে তাকে ধরে দোকানের পিছনে থাকা দোকানদারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সম্ভবত সেখানে তাকে হয়তো মারধর ও অপমান করে। এরপর তাকে ছেড়ে দেয়। তখন দোকানের সামনে থাকা কাঠমিস্ত্রি সমগ্র ঘটনা দেখে। এরপর রনি ‘র কোনো খোঁজ না পেয়ে তার বাবা জুয়েল দাস ছেলের খোঁজে বের হয়।
জুয়েল দাস আরেকটি বারি তৈরি করছিলো বড় রাস্তার সাথে। সেখানে অর্ধ সমাপ্ত ঘরে গিয়ে দেখতে পায় রনি কীটনাশক খেয়ে ছটফট করছে। সাথে সাথে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কমলপুর বি এস এম হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় ধলাই জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি দেখে আগরতলা রেফার করা হয়। কিন্তু ঐ দিন রাতেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মৃত্যুর আগে তার বড়বোনকে বলে যায় মা ও বাবাকে দেখে রাখিস।
এই ঘটনায় রনির বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আজ গ্রামবাসী একত্র হয়ে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। এবং রনির বাবা আজ বিচার চেয়ে কমলপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছে। পাপাপাশি গ্রামবাসীরা এই ঘটনার তদন্তক্রমে বিচার চেয়ে থানার কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছে।
মাত্র কুড়ি টাকার জন্য সম্ভাবনাময় এক কিশোরের অকালে চলে যাওয়াটা কেউ মেনে নিতে পারছেনা। রনি ‘র বাবা, মা, ঠাকুরদাদা সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে। রনির বাবা জুয়েল দাস পেশায় পাম্প অপারেটর।