ইভিএম সিস্টেমের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অভিযোগ: সত্যতা কি ?
প্ল্যানেট ত্রিপুরা নিউজ ডেস্ক : ০৮.১০.২০২৪ – হরিয়ানার হার মেনে নিতে পারছে না কংগ্রেস। এখন প্রশ্ন শুরু হলো গণনা প্রক্রিয়া ও ইভিএম নিয়ে। কংগ্রেস এর দাবি ইভিএম সিস্টেমকে ব্যবহার করেই আজ আমাদের জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরক জাতীয় কংগ্রেস দল। হরিয়ানায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরছে ভারতীয় জানাটা পার্টি । তাও পুরোপুরি একার দমেই । এবার কংগ্রেসের আসন সংখ্যা এবং ভোটের হার দুই-ই বেড়েছে কিন্তু সেটা বিজেপির তুলনায় অনেকটাই কম। হরিয়ানার মাটিতে এই হার যেন মানতে পারছে না কংগ্রেস দল । তাঁদের স্পষ্ট দাবি, হরিয়ানার ভোটে কারচুপি করা হয়েছে। কংগ্রেসের নিশ্চিত জয় ছিল কিন্তু সিস্টেমকে ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। হরিয়ানায় ভোটের পাবলিক ওপিনিয়ন মতে , সবাই একযোগে জানিয়ে দেয়, এবার হরিয়ানায় ১০ বছরের বিজেপি শাসনের অবসান হতে চলেছে , কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েই এবার ক্ষমতা দখল করবে। এমনকী মঙ্গলবার ভোটগণনা যখন শুরু হয় , তখনও এগোচ্ছিল হাত শিবির। একটা সময় মনে হচ্ছিল, কংগ্রেস শিবির রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। কিন্তু ভোটগণনা শুরুর পর ঘণ্টা দুয়েক কাটতেই ছবিটা পুরোপুরি বদলে গেলো । ভোটে লিড পাওয়া শুরু করল বিজেপি। শেষ ফলাফল বলছে, হরিয়ানায় ফের সরকার গড়ছে বিজেপি। কংগ্রেস অনেক পিছিয়ে। বিজেপি যেখানে ৪৮টি আসন পাচ্ছে। সেখানে কংগ্রেসের দখলে মাত্র ৩৭ টি আসন। হরিয়ানার জনতার এই রায় মানতে নারাজ কংগ্রেস শিবির । হাত শিবিরের দাবি, এই ফলাফল সে রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন নয়। গণনা যখন প্রায় শেষ তখন কংগ্রেসের সদর দপ্তর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জয়রাম রমেশ বলেন , “হরিয়ানার এই ফলাফল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত এবং অবিশ্বাস্য। এটা বাস্তব পরিস্থিতির বিপরীতে যাচ্ছে। এটা হরিয়ানার মানুষের মতামতের বিপক্ষে যাচ্ছে। হরিয়ানার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে মত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল। এই পরিস্থিতিতে এই ফলাফল মেনে নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।” কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ বলছেন, “বিকাল থেকে উনি নিজে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল । আমরা অন্তত ৩টি জেলা থেকে গুরুতর অভিযোগ পাচ্ছি। ওই তিন জেলায় ভোট গণনার প্রক্রিয়া এবং ইভিএম নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। আরও এই ধরনের অভিযোগ আসছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এই সিস্টেমকে ব্যবহার করে আমাদের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া হল।”