স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকা যদি দুই দিন স্কুলে লেইট করে আসেন তাহলে একদিনের সি এল কাটা যাবে জানালেন বিশ্রামগঞ্জ এইচ এস বিদ্যা জ্যোতি স্কুলের প্রিন্সিপাল চির কুমার দেববর্মা।
Bishramganj Tripura :07.10.2024 লেইট প্রেজেন্ট এর বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন বিশ্রামগঞ্জ এইচ এস বিদ্যা জ্যোতি স্কুলের প্রিন্সিপাল চিরকুমার দেববর্মা। কোনভাবেই মানা হবে না লেইট প্রেজেন্ট। দুইদিন যদি কোন শিক্ষক শিক্ষিকার লেইট প্রেজেন্ট অ্যাটেনডেন্স হয় তাহলে সেই শিক্ষক অথবা শিক্ষিকার কাটা যাবে একদিনের সি এল। প্রিন্সিপাল চিরকুমার দেববর্মা লেইট প্রেজেন্ট এর বিরুদ্ধে কড়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সংবাদ প্রতিনিধিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন রাজ্যে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভালো। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মধ্যে আগরতলা থেকে বিশ্রামগঞ্জ স্কুলে আসা যায়। বিশ্রামগঞ্জ বিদ্যার জ্যোতি স্কুলের সিংহভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা আগরতলা থেকে আসে। প্রতিদিন সকাল সকাল অর্থাৎ আটটার মধ্যে ঘর থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বার্তা দিয়েছেন তিনি। অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা যদি লেইট প্রেজেন্ট আসে তাহলে পঠন পাঠনের কোন অসুবিধা হয় না। যাদের প্রথম পিরিয়ডে ক্লাস থাকে তাদেরকে শেষের দিকে লাশ দেওয়া হয়। এখন অ্যাটেনডেন্স হল ই অ্যাটেনডেন্স। তাই লেইট প্রেজেন্ট সহসাই ধরা পড়ে যায়। তবে সোমবার দিন বাধারঘাট এলাকায় বিশাল বড় ট্রাফিক জ্যাম ছিল। যার ফলে আটকে গিয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা। তাদের কলে আসতে দেরি হয় । এমন প্রায় চার থেকে পাঁচ জন শিক্ষক শিক্ষিকার সোমবার দিন স্কুলে আসতে দেরি হয়ে যায়। স্কুল শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পর তারা স্কুলে ঢুকে। এই বিষয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল চিরকুমার দেববর্মা বলেন লেইট প্রেজেন্ট কোনভাবেই মানা হবে না। লেইট প্রেজেন্ট এর কারনে বিশ্রামগঞ্জ স্কুলে প্রায় ৯ থেকে ১০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার কাটা গিয়েছে সিএল। দুইদিন লেট প্রেজেন্ট আসলে একদিনের সি এল কাটার সিদ্ধান্ত তিনি কড়া ভাবে নিয়েছেন। তিনি আরো জানান বিশ্রামগঞ্জ স্কুলে নার্সারি থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী রয়েছে ১৩০০ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে চল্লিশ জন। তবে শিক্ষক শিক্ষিকার সংকট রয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করে নেন। সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে সময়মতো আসার বার্তাও দেন প্রিন্সিপাল চিরকুমার দেববর্মা। সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ডক্টর সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল ও কয়েক মাস আগে লেইট প্রেজেন্টের কারণে বেশ কয়েকজন কে শোকজ করেছিলেন একসঙ্গে। এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রতিনিধি যখন প্রিন্সিপাল কে প্রশ্ন করেন তিনি ডিএম এর রুলস ফলো করছেন কিনা এই বিষয়ে প্রিন্সিপাল জানান শুধু ডি এম নয় শিক্ষা দপ্তরের সমস্ত নিয়ম ফলো করেই তিনি চালাচ্ছেন বিশ্রামগঞ্জ বিদ্যা জ্যোতি স্কুল।