পুজোর আবহে শহরে যানজট, ট্রাফিক বাবুরা ব্যস্ত জরিমানা আদায়ে/জনৈক পুলিশ কর্মী ব্যস্ততম সময়ে রাজধানী আগরতলায় বাইক দিয়ে কোন না কোন জায়গায় যাচ্ছেন এবং অবশ্যই সরকারি পোশাক পড়ে। টি আর জিরো ওয়ান এ টি ফোর ডাবল সেভেন ওয়ান এই নম্বরের মোটরবাইক আরোহী পুলিশকর্মী সুন্দর করে হেলমেট ছাড়া রাস্তায় চলছেন।তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করছেনা ট্রাফিক বাবুরা।
পুজোর বাজারে গাড়ি বাইক চালকদের পকেট কাটছেন ট্রাফিক বাবুরা। রাজ্য সরকারের প্রদেয় বোনাসে বাজেট কভার হচ্ছে না স্যার মেডামদের। ফলে বাজেট পুরন করতে এখন যান চালকরাই ভরসা। আর তাই ট্রাফিক আইনের টিকিট বিক্রিতে মসগুল দিদিমনি দাদাবাবুরা। শহরের সিসি টিভি গুলিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন ই চালান পৌছে বাইক স্কুটি চালকদের ফোনে। কিন্তু ট্রাফিক বাবুদের জন্য আইন কানুনের কোনো বালাই নেই। সাধারণ বাইক স্কুটি চালকদের যত আইন আর বিধি। বাইক চালকের হেলমেট নেই কেন ? পেছনে বসা ব্যাক্তির হেলমেট কোথায় ? চাকায় হাওয়া আছে কিনা ? পলিঊশনের সার্টিফিকেট কোথায় ? হেড লাইট জলে কিনা ? আরও কত কি। কিন্তু পুলিশ বাবুদের না লাগে হেলমেট, না ইনসিউরেন্স না পলিউশন। পুলিশের কজনের ড্রাইভিং লাইলেন্স আছে তাতে সন্দেহ রয়েছে। পুলিশ বাবুদের একটিও গাড়ির ফিটনেস নেই। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশের গাড়ি ঠেলে নিয়ে যেতে হয়, এরকম অসংখ্য ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে হু হু করে ঘুরছে। আর প্রতিদিন শহরে ট্রাফিক পুলিশ সহ থানা পুলিশের হেলমেট ছাড়া বাইক রাইডিং এর ভিডিওতো অহরহ। এই প্রতিবেদনে আরও একটি ছবি তুলে ধরা হচ্ছে। দেখুন এই ভিডিওতে একজন পুলিশ কর্তা কিভাবে হেলমেট ছাড়া বাইক নিয়ে ঘুরছেন। জনৈক পুলিশ কর্মী ব্যস্ততম সময়ে রাজধানী আগরতলায় বাইক দিয়ে কোন না কোন জায়গায় যাচ্ছেন এবং অবশ্যই সরকারি পোশাক পড়ে। টি আর জিরো ওয়ান এ টি ফোর ডাবল সেভেন ওয়ান এই নম্বরের মোটরবাইক আরোহী পুলিশকর্মী সুন্দর করে হেলমেট ছাড়া রাস্তায় চলছেন। কে জানে হয়তোবা তিনিই একটু আগে হেলমেট না পরার জন্য ফাইন করেছেন বা ছাপার অযোগ্য ভাষায় গালি প্রদান করেছেন। স্মার্ট শহর আগরতলা, স্বাভাবিকভাবেই শহরের ব্যস্ততাও বেড়েছে। গাড়ি, বাইক, চার চক্রযান, রিক্সা, টমটমে এখন শহর ভীরে ঠাসা। তারউপর এখন পুজোর আবহ। আর মাত্র সপ্তাহখানেক বাকী তার পরই রাজ্যের সর্বোচ্চ উৎসব শারদোৎসব। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্লাব গুলিতে পুজোর মন্ডপ তৈরি চলছে জোর কদমে। প্রায় প্রতি বছর বাড়ছে পুজোর সংখ্যা। এই আবহে শহরে কিছুটা যানজট হওয়া অস্বাভাবিকের কিছু নয়। কিন্তু তাই বলে যেমনটা চিত্র উঠে আসছে তাও আবার স্বাভাবিক বলা যায় না। শহরের মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় বহুতল মাল্টি পার্কিং শপিং কমপ্লেক্স নির্মান কাজ চলছে। এর ফলে এমনিতেই রাস্তার পরিধি অনেকটাই ছোট হয়ে পড়েছে, তার উপর একাংশ টমটম, রিক্সা সহ অস্থায়ী চাট ফুচকার দোকান গুলির যত্রযত্র পার্কিং সহ দোকান খোলার ফলে প্রতিদিন যানজট বাড়ছে। এই অবস্থায় মোটরস্ট্যান্ড পেট্রোল পাম্পের সামনে মুল রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি বাইক চেকিংয়ের নামে আরও বেশী যানজট তৈরি করছেন খোদ ট্রাফিক বাবুরাই। পুজো আসছে তাই এখন অর্থ সংগ্রহ করতে হবে এই টার্গেট নিয়েই ট্রাফিক বাবুদের এতো ততপরতা। বাইকের কাগজ পত্র চেকিং, হেলমেট আছে কিনা, পেছনে বসা ব্যাক্তির হেলমেট নেই এই সব নিয়ে আইন কানুন দেখিয়ে জরিমানা আদায় করাটাই মুখ্য। এতে করে যে যানজট বাড়ছে, মানুষের সময় নষ্ট হচ্ছে এসবের দিকে কোনো নজর নেই ট্রাফিক বাবুদের। তারা নিজেরাই রাস্তার মাঝপথ দখল করে বসে থাকেন। এই গেলো পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডের চিত্র। এরপর একটু এগিয়ে আসলে কাসারিপট্টি ও শান্তিপাড়া দুই বিপরীতমুখি রাস্তায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। শান্তি পাড়া মসজিদ পট্টিতে বাইক নিয়ে আসা যাওয়ার মত অবস্থা নেই। রাস্তার উপর যত্রতত্র টমটম, অটো, ঠেলা দাড়কড়িয়ে দোকানের মাল উঠানামোনো হচ্ছে। মানুষ পায়ে হেটে মসজিদ পট্টির গলি পেড়োতে গেলে আধঘন্টা সময় লেগে যায়। এখানে ট্রাফিকবাবুদের কোনো নজর নেই। নেই পুর নিগমের টাস্ক ফোর্সের কোনো ভুমিকা। কামান চৌমুহনী থেকে মেলারমাঠ ২ কিলোমিটার পথে গাড়ি বাইকে যেতে সময় লাগে আধঘন্টা। মাঝখানে পশ্চিম থানার সামনে পুলিশ বাবুরা দাঁড়িয়ে শুধু ফাইন কাটতে ব্যাস্ত। ট্রাফিক পুলিশের নতুন এস পি সুদেষ্ণা ভট্টাচার্যী আর তার সহযোগী অতিরিক্ত এসপি সুধাম্বিকা আর শহরে দলবল নিয়ে যেভাবে হম্ভিতম্ভি দেখান কাজে তার বিপরীত। পুজোর এই সময়ে সন্ধ্যে হলেই সুর্য মামার দাপুট যখন কিছুটা শান্ত তখন এই দুই দিদিমনি শিততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে বেড়িয়ে শহরে নিজেদের দাপট দেখাতে শুরু করেন। উদ্যেশ্য একটাই টাকা আদায়। বছরে এক আধ বার সড়ক সুরক্ষা সপ্তাহ/ মাস করে সরকারী টাকার আদ্য শ্রাদ্ধ করেই দায়িত্ব খালাস দপ্তরের। এখন আরেক নতুন কায়দা শুরু হয়েছে পুজোর পাস নিয়ে। বিজ্ঞপ্তি জারী করে বলা হয়েছে যাদের নামেই ই চালান রয়েছে তাদের আগে চালান জমা দিতে হবে নয়তোবা পাস দেওয়া হবে না। বাস্তবে কোষাগার স্ফিত করাটাই আসল লক্ষ্য। ট্রাফিক এসপি সুদেষ্ণা ভট্টাচার্য্য বলেন, শহরের আনাচে-কানাচে যত্রতত্র এলাকায় গাড়ি মোটর বাইক স্কুটি সহ নানা যানবাহন যেখানে খুশি সেখানেই পার্কিং করে চলছে জনগণ। মূলত শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে টাফ্রিক পুলিশের এই সমস্ত অভিযান। বেশ কিছু দিন যাবৎ দেখা যাচ্ছে রাজধানীর বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় বেআইনিভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। তাতে যানযট সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তাছাড়া যে সমস্ত যানবাহন সঠিক কাগজপত্র নেই তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে এবং মামলা নেওয়া হচ্ছে। বাস্তবে যানজট মুক্ত করতে ট্রাফিক বাবুদের কি পরিকল্পনা তা সকলেই প্রত্যক্ষ করছে। যতদিন পর্যন্ত জরিমানা আদায়কে প্রধান্য না দিয়ে সঠিক পরিকল্পনা মাফিক যানজট মুক্ত করার কাযে নিয়োজিত না হবেন ট্রাফিক বাবুরা ততিদিন পর্যন্ত শহরকে যানজটমুক্ত করা অসম্ভব। শহরকে স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন ও যানজট মুক্ত করতে হলে পুর নিগমকে সাথে নিয়ে জনসচেতনতা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। এই কাজ না করে শুধু লোক দেখানো অভিযান আর জরিমানা আদায়ে এই সমস্যা সমাধানের নয় বলেই অভিমত সচেতন মহলের। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ সহ থানা পুলিশের যে সমস্ত কর্মচারীরা বিনা হেলমেটে বাইক স্কুটি চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্থা গ্রহন করছে দপ্তর তাও জনসমক্ষে আনতে হবে। শুধু পুলিশ কেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের গাড়ি বাইক গুলির কাগজপত্র কতখানি ঠিকঠাক আছে তাও জানতে চায় সাধারণ মানুষ। কেননা আইনতো সকলের জন্যই সমান। ফলে আগে নিজেদের ঠিক করার উদ্যোগ নেওয়ার দাবী ঊঠছে। কেননা কথায় আছে নিজে ভালো তো জগত ভালো।
পুলিশ কর্মীর মাথায় নেই হেলমেট এখন কে করবে জরিমানা
Leave a Comment