ঘরে নেই স্বামী-শাশুড়ি, শ্বশুরের হাতে ধর্ষণের শিকার দুই সন্তানের জননী! উত্তাল সোনামুড়া তেলকাজলা অঞ্চল
📍 অবস্থান: সোনামুড়ার তেলকাজলা গ্রাম পঞ্চায়েত, ৬ নম্বর ওয়ার্ড
🗓️ ঘটনার সময়: রবিবার গভীর রাত
ত্রিপুরার সোনামুড়া মহকুমার এক নিভৃত গ্রামে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে—এক নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা তেলকাজলা এলাকা। শ্বশুরের লালসার শিকার হয়েছেন একজন দুই সন্তানের মা, যিনি তার স্বামী ও শাশুড়ির অনুপস্থিতিতে শ্বশুরের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন।
❗ ঘটনার বিবরণ:
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী মফিজ মিয়া ও শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম বর্তমানে বাইরে, ভিন রাজ্যে। অভিযোগ অনুযায়ী, শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম আসামের ডিব্রুগড়ে অবস্থান করছেন এবং সেখানে গাঁজা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে, স্বামী মফিজ মিয়া চেন্নাইয়ে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা পরিচালনার সূত্রে অবস্থান করছেন।
এদিকে, খালি বাড়িতে থেকে গিয়েছিলেন শ্বশুর মুখলেস মিয়া, পুত্রবধূ এবং দুই নাতি। সেই নিঃসঙ্গতার সুযোগ নিয়ে, রবিবার রাতে মুখলেস মিয়া তার পুত্রবধূকে ঠান্ডা শরবতের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খাওয়ায়। পরে ওই মহিলা অচেতন হয়ে পড়লে, শ্বশুর পাষণ্ডের মতো অর্ধরাত পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করে।
😰 সচেতনতার মুহূর্ত:
রাতের একপর্যায়ে ঘুম ভেঙে গেলে পুত্রবধূ তার উপর ঘটে চলা পাশবিক নির্যাতন টের পেয়ে ঘর ছেড়ে ছুটে যান এক প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয়ের জন্য। সকালে বাবার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। এরপরই সামনে আসে ঘটনার জঘন্য বাস্তবতা।
🎤 সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলে নির্যাতিতা:
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় একাধিক সংবাদমাধ্যম। সাংবাদিকদের সামনে নিজের যন্ত্রণার গল্প খুলে বলেন তিনি, এবং জানান, তিনি সোনামুড়া থানায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করবেন।
🗣️ প্রতিক্রিয়া:
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষোভ ও ঘৃণা। এলাকাবাসীরা একবাক্যে শ্বশুর মুখলেস মিয়ার কঠোর শাস্তির দাবি জানায়।
স্থানীয়রা বলছে—
“এ ধরনের পাশবিক অপরাধের শাস্তি যেন দৃষ্টান্তমূলক হয়, যাতে আর কেউ এমন ঘৃণ্য কাজ করার সাহস না পায়।”