২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে সর্ববৃহৎ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান/ উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরার তৈরি হল নতুন ইতিহাস/টিএস এর বাহিনীর সদর দপ্তরে একসঙ্গে অস্ত্র তুলে দিল ৬ শতাধিক আত্মসমর্পণকারী জঙ্গি দলের সদস্য। জম্পুইজলায় অনুষ্ঠিত হলো রাজ্যের দুটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর আত্মসমর্পণ কর্মসূচি। এই দিন এটিটিএফ এবং এনএলএফটির আত্মসমর্পণকারী সন্ত্রাসবাদীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডক্টর মানিক সাহার হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। জম্পুইজলায় টিএসআর 7-ম বাহিনীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই আত্মসমর্পণ কর্মসূচি। দীর্ঘদিন যাবত এই দুটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলকে অস্থির করে রেখেছিল। বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি ছিনতাই ও অপহরণের মতো ঘটনা সংঘটিত করেছিল এই দুটি সংগঠনের সদস্যরা। পাশাপাশি এটিটিএফ এবং এনএলএফটির বন্দুকের গুলিতে শহীদ হয়েছিলেন অসংখ্য আরক্ষা কর্মী। এদিনের এই আত্মসমর্পণ কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদীদের বন্দুক দিয়ে উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। শান্তির মধ্য দিয়েই উন্নয়ন সম্ভব। আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের স্বাভাবিক জীবনে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।উল্লেখ্য ইতিপূর্বে ৮সেপ্টেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ ত্রিপুরার নিষিদ্ধ বৈরী সংগঠন এন এল এফ টি এবং এটিটিএফের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন সহ বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা এবং বৈরী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের প্রস্তাব মেনে এন এল এফ টি এবং এটিটিএফ অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সম্মত হয় এবং রাজ্য এবং রাষ্ট্রের বিকাশে সরকারের সাথে এক হয়ে কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছিল। সেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের চুক্তির পর বৈরী দলের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করল