স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৫০ হাজার টাকা গিলে খাওয়ার অভিযোগ উঠল এক স্ব-সহায়ক দলের বিরুদ্ধে!
স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ৫০ হাজার টাকা গিলে খাওয়ার অভিযোগ উঠলো এক স্ব-সহায়ক দলের সদস্যাদের বিরুদ্ধে।পরবর্তী সময়ে বাধ্য হয়ে সেই স্ব সহায়ক দলের লিডার লিপিকা রায় পাল প্রথমে বক্সনগর আর ডি ব্লকের ভিডিও দ্বারস্থ হন পরবর্তী সময়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়ে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি রাখলেন।ঘটনার বিবরনে জানা যায় বক্সনগর ব্লকের অধীন কমলনগর এলাকার ১০ জন মহিলা মিলে মা বাবার আশীর্বাদ নামে একটি স্ব সহায়ক দলের গ্রুপ করেছেন ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। প্রত্যেকেই প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে জমা দিচ্ছে। ১০ জনের মধ্যে ভালো তাল মিল প্রায় দুই বছর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সকলেই টাকা জমা করেছে। কিন্তু আচমকা ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত কেউ টাকা জমা দেয়নি। তারই মধ্যে গ্রুপ লিডার লিপিকা রায় পাল বারবার ফোন করে অন্যান্য সদস্যাদের জিজ্ঞাসা করেন কেন টাকা জমা করছে না। কিন্তু টাকা না দেওয়ার ফলে গ্রুপ লিডারের সন্দেহ হয়। একদিন তিনি বক্সনগর মতিনগর স্টেট ব্যাংকে ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে দেখতে পায় সেই মা বাবার আশীর্বাদ গ্রুপ নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এমন সময় তিনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তাকে বলেন সম্পূর্ণ টাকা তুলে নিয়ে গেছে অনেক পূর্বেই। কিন্তু তিনি প্রশ্ন করেন, আমি তো গ্রুপ লিডার আমি কিছুই জানি না কিংবা আমি স্বাক্ষরও করিনি। তাহলে কিভাবে টাকা তোলা হয়েছে। এমন সময় তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সদস্যাদের সাথে যোগাযোগ করলে কেউ পাত্তা দিতে নারাজ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিংবা ব্লকের দ্বারস্থ হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। অসহায় গরীব মানুষ টাকা জমা করবে আর কিছু লোক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিংবা সিএসপি সাথে যোগাযোগ করে ব্যাংক থেকে টাকা জালিয়াতি করে নিয়ে যাবে তা মেনে নেওয়া যায় না। বক্সনগর ব্লকের মধ্যে এরকম ঘটনা অনেক রয়েছে বলেও কান পাতলে শোনা যাচ্ছে। তবে এখন প্রশ্ন হল একজন গ্রুপ লিডারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে কিভাবে অন্যান্য সদস্যারা ৫০ হাজার টাকা গিলে খেয়ে নিয়েছে। তা নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে তিনি প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত দাবি রাখলেন এবং যারা এই কাজ করেছে সকলের শাস্তি দাবি ও রেখেছে। যাতে পরবর্তী সময়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জনগণের কিংবা গরীব মানুষের টাকা গিলে না খায়।