নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা ২৬ আগস্ট : রামনগর ৪ নং রোডের ব্যাবসায়ী অমলেষ দত্ত মজুমদারের দোকানে চুরির ঘটনায় তিন চোরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পশ্চিম থানার পুলিশ। গত ২২ আগস্ট রাতে অমলেষ দত্ত মজুমদারের মুদী দোকেন হাত সাফাই করে চোরের দল। দোকানের পার্শ্ববর্তী একটি নির্মিয়মান বিল্ডিংয়ের উপর দিয়ে গিয়ে অমলেষ বাবুর দোকানে ঢুকে চোরের দল। দামী দামী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, কিছু পরিমান নগদ অর্থ, একটি মোবাইল ফোন সহ সিসি টিভির মেশিন নিয়ে যায় চোরেরা।
এ ঘটনায় পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলার পর পশ্চিম থানার ওসি রানা চ্যাটার্জির নেতৃত্বে বিশেষ পুলিশ টিম তদন্তে নামে। টানা তল্লাশি ও অনুসন্ধানের পর গতকাল রাতে পশ্চিম থানার পুলিশ তিন চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় আটক তিন চোরের নাম— গৌতম সরকার, রাজু বিশ্বাস ও প্রীতম শীল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই চুরির সঙ্গে আরও একজন জড়িত রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিশেষ অভিযান চলছে। ঘটনা প্রসঙ্গে এসডিপিও দেবপ্রসাদ রায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, পুলিশের তৎপরতায় অল্প সময়ের মধ্যেই চুরির ঘটনাটি উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। খুব শিগগিরই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর অপরাধীকেও গ্রেপ্তার করা হবে। স্থানীয়দের মতে, পুলিশের এই দ্রুত পদক্ষেপে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে ।
একইভাবে প্রতিটি চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের এজাতীয় ততপরতার দাবী উঠছে। পাশাপাশি চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা কি করে সংগঠিত করছে দুর্বৃত্বরা তারও সঠিক তফন্তের প্রোয়োজনীয়তা বোধ করছেন শহরবাসী। কেননা আগরতলা স্মার্ট সিটি, বর্তমানে শহরে পুলিশ প্রশাসনের বাড়তি নিরাপত্তা থাকার কথা, রয়েছে প্রতিটি অলিগলিতে সিসি টিভি ক্যামেরা, নাকা চেকিং।
তারপরেও কেন চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলছে ? পুলিশ অপরাধীদের পেছনে ধাওয়া না করে যদি অপরাধের রাস্তায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে কমতে পারে এইসব ঘটনা বলে দাবী শহর এলাকার সাধারন মানুষের ।
