ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নির্মীয়মান বিতর্কিত বাঁধ ও ভারতীয় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে পূর্ত ও জল সম্পদ দপ্তরের সচিব কিরণ গিট্রে। মিলিত হন সাংবাদিক সম্মেলনে। বিলোনিয়া সফরে পূর্ত ও জলসম্পদ দপ্তরের সচিব কিরন গিট্টে । সাথে ছিলেন ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার বিএসএফ আই জি অশ্বিনী কুমার। খবরের জেরে রাজ্য প্রশাসনের টনক লড়লো,রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ বিলোনিয়া সফরে এসে তিনি প্রথম বিলোনিয়া সার্কিট হাউসে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আধিকারিকদের সাথে বৈঠকে করেন, ভারত বাংলা সীমান্তের বাঁধ সংস্কার সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। আলোচনা শেষে পূর্ত ও জলসম্পদ দপ্তরের সচিব কিরন গিট্টে ভারতীয় সীমান্ত সুকান্ত নগর,নেতাজি সুভাষ চন্দ্র নগর ও ঈশান চন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বিলোনিয়া,বল্লামুখা এলাকার ভারত বাংলা কাঁটা তার সীমান্ত সংরক্ষিত ভূমি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালীন সময়ে সীমান্ত সংরক্ষিত ভূমি অর্থাৎ নো মেন্ট ল্যান্ডে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুক্তিকে অগ্রাহ্য করে বাংলাদেশ সরকার ভারত বাংলা সীমান্তে বাঁধ নির্মাণ করছেন তা তিনি সরে জামিনে ঘুরে দেখেন । রাজ্য সচিব কিরন গিট্টে সফর সঙ্গি ছিলেন ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার বিএসএফ আইজি অশ্বিনী কুমারের পাশাপাশি ছিলেন পুলিশ সুপার মৌর্য কৃষ্ণ, এডিএম প্রদীপ কুমার , মহকুমা শাসক দেবাশীষ দাস, পূর্ত ও জলসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকরা সহ সীমান্ত বিএসএফ আধিকারিকরা। বিলোনিয়া আইসি নগর বল্লামুখা , বাংলাদেশের নিজকালিকা পুর এলাকার ভারত বাংলাদেশ কাঁটা তার সীমান্ত পরিদর্শন করে পুনরায় চলে আসেন বিলোনিয়া সার্কিট হাউসে। সেখানে ভারত চন্দ্র নগর ব্লকের চেয়ারম্যান পুতুল পাল বিশ্বাস, পুরসভার চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র গোপ সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা ও পূর্ত ও জলসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন পূর্ত ও জলসম্পদ দপ্তরের রাজ্য সচিব কিরন গিট্টে । ভারত চন্দ্র নগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পুতুল পাল বিশ্বাস, বিলোনিয়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র গোপ, ঋষ্যমুখ পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শম্ভুনাথ কর ছাডাও জলসম্পদ বিকাশ দপ্তর সহ পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক ও মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা জেলার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সচিব জানান, গত আগস্ট মাসের বন্যায় রাজ্যের অনেক কিছু ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ জেলা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলোতে কিছু কিছু কাজ চলছে, কিছু ক্ষেত্রে কাজ শুরু হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে নতুন ভাবে বিভিন্ন পরিকল্পনাও হাতে নেয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে কাজ গুলি সম্পূর্ণ হবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন রাজ্য জলসম্পদ বিকাশ দপ্তর ও পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরন গিট্টে। তিনি বিলোনিয়াবাসীকে আশ্বস্ত করেন আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই সকলের সহযোগিতা নিয়ে সরকার দ্রুত সমস্যা সমাধানে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।