মধুপুর থানার সহযোগিতায় পাঁচ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করলো মধুপুর থানাধীন পাথারিয়াদ্বার এলাকায়। পরবর্তী সময়ে দুই মহিলা সহ তিনজন বাংলাদেশী পুরুষকে মধুপুর থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশিরা স্বীকার করেন দিল্লিতে কাজের উদ্দেশ্যে ঐ পার থেকে এপাড়ে এসেছে।তবে বাংলাদেশে কিছু দালাল চক্র তাদেরকে মধুপুর থানাধীন পাথারিয়াদ্বার সীমান্তবর্তী এলাকার তারকাটা ভেড়ার একটি কালভার্টের তলায় দিয়ে এই পারে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে তাদের কাছে ১৫ হাজার বাংলাদেশী টাকা এবং একটি মোবাইল নিয়ে চম্পট দেই ওই দালাল। পরবর্তী সময়ে বলে দেয় কালভার্টের তলায় দিয়ে ওই পারে চলে যেতে। পরবর্তী সময়ে BSF চোখে ধুলু দিয়ে এপারে প্রবেশ করে। সারা রাত্র এপারে এসে ঘোরাফেরা করে সকাল বেলা যখন পাথারিয়াদ্বার এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল এমন সময় এলাকাবাসীর নজরে আসে।মুহূর্তের মধ্যেই মধুপুর থানায় খবর দিলে মধুপুর থানার পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। জানাযায় তাদের বাড়ি বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলার রংপুর ডিভিশনে। যদিও জানাযায় সেই পাঁচজন একই পরিবারের তাদের নাম মনির খান,সাহেবা খাতুন, শাহজালাল খান এবং স্বাধীন খান,দুলালী খাতুন। তবে প্রাথমিক ধারণা বাংলাদেশি দালাল চক্র যুক্ত থাকলেও এপারের কিছু দালাল যে যুক্ত রয়েছে তা কিন্তু বলা বাহুল্য।তবে পুলিশের তদন্তক্রমে তা কিন্তু বেরিয়ে আসবে তাই এখন দেখার বিষয়। তবে আদর্শকলোনি এলাকার কয়েকজন যুবক তার সাথে যুক্ত রয়েছে বলে সূত্রের খবর।এদিকে মধুপুর থানার ওসি জানান প্রাথমিক ধারণাই তাদের থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেলেও আশা করা যাচ্ছে আরও কিছু তথ্য লুকিয়ে রয়েছে তা বের করা সম্ভব হবে। তবে ভারতীয় কিছু দালাল যে তাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের সন্ধানে আমরা মাঠে নেমে তাদেরকে গ্রেফতার করবো। বর্তমান পরিস্থিতির কথায় মাথা রেখে দুই দেশের সম্পর্ক পূর্বের তুলনায় অনেক খারাপ। তারপরেও কিভাবে দালাল চক্ররা বাংলাদেশী কিংবা রোহিঙ্গাদের এপারে আদান-প্রদান করছে কিংবা এই পাড় থেকে ওই পারে কিছু পাচারকারী বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নপত্র শুরু করেছে। তবে বৃহস্পতিবার সকালবেলা পাঁচজন বাংলাদেশীকে গ্রেফতারের পর এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।