তীব্র গরমে যখন মাঠ ফেটে চাষাবাদের ক্ষতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তখনই হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি যেন ত্রাতারূপে হাজির হয়ে প্রাণ ফিরিয়ে দিল তেলিয়ামুড়ার কৃষকদের জীবনে। একদিকে সূর্যের অসহ্য তাপ, অন্যদিকে জলের তীব্র সঙ্কটে মাথায় হাত ছিল কৃষকদের। ঠিক সেই সময় প্রকৃতি তার অশেষ কৃপা বর্ষণ করে স্বস্তি এনে দেয় মাঠে-ঘাটে।তেলিয়ামুড়া মহকুমার বাইশগরিয়া, ব্রহ্মছড়া, হাওয়াইবাড়ি, তুইচিন্দ্রাই, খাসিয়া মঙ্গল, মোহরছড়া, কৃষ্ণপুর, মাইগঙ্গা ও মহারানীপুর সহ একাধিক কৃষিপ্রধান অঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে দেখা গেল প্রাণচঞ্চলতা। তাদের কথায়, “যেন মাটি আবার কথা বলছে, শুকিয়ে যাওয়া জমি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।”
এই অঞ্চলের অধিকাংশ পরিবার কৃষিনির্ভর। চলতি মরশুমে তারা ধান, শাকসব্জি ও অন্যান্য মৌসুমি ফসল চাষে মন দিয়েছিলেন। কিন্তু জলের অভাবে অনেক জমিতে ফাটল দেখা দেয়, ফসল শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এমন অবস্থায় বৃষ্টির জন্য বহুদিন ধরে প্রার্থনা করছিলেন তাঁরা।স্থানীয় কৃষক জানান, “জমিতে টাকা খরচ করেছি, কিন্তু জল না থাকায় সবই বৃথা মনে হচ্ছিল। আজকের এই বৃষ্টিই যেন আমাদের নতুন করে বাঁচার সাহস দিল।”
বৃষ্টি শুধু মাটিকে নয়, কৃষকদের মনকেও সিক্ত করেছে। তাদের চোখেমুখে এখন নতুন আশার আলো। আবহাওয়া যদি এভাবেই সহায় হয়, তাহলে চলতি মৌসুমে ভাল ফলনের আশায় বুক বাঁধছেন চাষিরা।
বৃষ্টির পরশে তেলিয়ামুড়ার কৃষকদের স্বস্তির নিঃশ্বাস
Leave a Comment