আপনি ব্যাংকে টাকা রেখে মনে করছেন, যে আপনার টাকা গুলি নিরাপদে রয়েছে! একদম না!!
এই ঘটনা দেখলে চক্ষু চরক গাছ হয়ে উঠবে। সম্প্রতি মেলাঘরে দুই দুটি ব্যাংক, একটি হলো গ্রামীণ ব্যাংক, অপরটি হল ত্রিপুরা কো-অপারেটিভ ব্যাংক। এ দুই ব্যাংক থেকে আধার লিঙ্ক, ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে বহিরাজ্যের দুই যুবক দুই দফা টাকা তুলে নিয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে গ্রাহকের আধার লিঙ্ক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, একমাত্র গ্রাহক ছাড়া সে কাজ এবং ব্যাংকের কর্মী ছাড়া কেউ করতে পারবে না। তাহলে বহিরাজের দুই যুবক কি করে গ্রাহকের আধার কার্ডের লিংক ও ফিঙ্গার প্রিন নকল করল, এই নিয়ে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ প্রশ্ন তুলছে, টাকা হেরফের ও লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের স্টাফদের হাত রয়েছে, অর্থাৎ তাদের সঙ্গে ব্যাংকের স্টাফদের গোপন সম্পর্ক রয়েছে। দেখা গেল প্রথম ঘটনাটি মেলাঘর গ্রামীণ ব্যাংকের, গ্রাহক গ্রানতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের একাউন্ট থেকে, দুই দফা প্রায় ১৮ হাজার ৫০০ টাকা আধার লিঙ্ক ও নকল ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে বহিরাজের যুবক। অন্যদিকে একই পঞ্চায়েত এলাকা, গ্রান তুলি রাজমোহন অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের হেল্পার মরনী নন্দীর মেলাঘর ত্রিপুরা স্টেট কোঅপারেটিভ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে উত্তরপ্রদেশের দুই যুবক ফেব্রুয়ারি ১১, ২, ২০২৫,নকল আধার কার্ডের লিংক ও ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে ৪৯০০ পরবর্তী এপ্রিল মাসে ৫০০০ টাকা তুলে নেয়।এই বিষয়ে যখন হেল্পার মরণী নন্দির ছেলে ব্যাংকে গিয়ে জানা তখন ব্যাংক আগরতলা হেড অফিসে পাঠায়,হেড অফিস থেকে প্রথমে মরনী নন্দির ছেলেকে ব্যাংক থেকে প্রথমে উল্টাপাল্টা কথা বলা হয়, বলা হয় তার মা নাকি উত্তর প্রদেশ কুম্ভ মেলা গিয়ে সে টাকা তুলেছে, তখন মরণী নন্দীর ছেলে বলে আমার মা তো কুম্ভ মেলা যায়নি, সুতরাং অযথা কথা বলছেন। এরপর বলা হয় হেড অফিস থেকে তাকে বলা হয় থানা মামলা করার জন্য, প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে যদি গ্রাহকের গুচ্ছিত টাকা ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে যা, তাহলে আগামী দিনে মানুষ, কোথায় টাকা রেখে সুরক্ষিত থাকবে, এ বিষয়ে ব্যাংকের কোন কর্মী জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করছে। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়