অবশেষে পাঁচদিন পর কৈলাসহর মহকুমায় কার্ফু তথা ১৬৩ ধারা প্রত্যাহার করা হলো
মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। একুশ অক্টোবর সোমবার বিকেলে এই খবরটি নিশ্চিত করেন কৈলাসহরের মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার। উল্লেখ্য, গত ১৬অক্টোবর বুধবার কৈলাসহরের ইরানি থানার অন্তর্ভুক্ত যুবরাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাতের অন্ধকারে মসজিদে আগুন লাগানোর পর গোটা কৈলাসহর মহকুমায় খানিকটা আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারনে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৈলাসহর মহকুমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু তথা ১৬৩বি.এন.এস.এস জারী করা হয়েছিলো। এই ১৬৩ ধারা জারী থাকাকালীন গোটা কৈলাসহর মহকুমায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ ছিলো। যদিও পরবর্তী সময়ে ১৬৩ধারা জারী থাকাকালীন কৈলাসহর মহকুমায় বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নি। ১৬৩ধারা থাকাকালীন গত ঊনিশ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ইরানি থানা প্রাংগনে জেলা আরক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এক শান্তি বৈঠক অনুস্টিত হয়েছিলো। সেই শান্তি বৈঠকে প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। ১৬অক্টোবরের শান্তি বৈঠকে শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকার পক্ষেই সাওয়াল করেছিলেন প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। পরবর্তী পর্যায়ে কৈলাসহর মহকুমায় আর কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটায় এবং গোটা মহকুমায় আইনশৃংখলা স্বাভাবিক হওয়ায় একুশ অক্টোবর ঊনকোটি জেলা পুলিশ সুপারের আদেশ মূলে কৈলাসহরের মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার ১৬৩ ধারা তথা কার্ফু প্রত্যাহার করে নেন বলে একুশ অক্টোবর সোমবার বিকেলে নিজ চেম্বারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজেই জানিয়েছেন মহকুমাশাসক প্রদীপ সরকার