বাড়িতে নেশার আসর, স্থানীয় গনরোষের শিকার যুবক, ভাঙচুর
রিপন মিয়া। নেশা জগতের অন্যতম সম্রাট। কলমচৌড়া থানাধীন ভেলুয়ারচর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু তাহেরের ছেলে এই রিপন। অবৈধ নেশার জগতে তার রয়েছে অবাধ বিচরন। গাঁজা চাষাবাদ বা বর্হিরাজ্যে গাঁজা পাচার বানিজ্য থেকে শুরু করে বাবা, ইয়াবা, কৌটা, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় ব্যবসার আস্ফালন তার।
ইট- সিমেন্টের বাউন্ডারি ওয়াল দ্বারা বেস্টিত তার বাড়িতে প্রায়শই চলে থাকে নেশার রমরমা। এমনকি তার এই নেশাচক্রের নিরাপত্তাব্যবস্থার জন্য বাড়িতে চতুর দিকে রয়েছে সিসিটিভি। যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়ে থাকে। নেশার আসর গড়ে উঠায় তার বাড়িতে সদা সর্বদা যুবক অংশের আনাগোনা দেখা যায়। এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই ক্ষিপ্ত এলাকাবাসি। কেননা, তাদের বক্তব্য হলো এই নেশার কবলে পড়ে এলাকার ছেলেপুলেরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। স্কুল- কলেজের নাম করে গিয়ে সেখানে আড্ডা জমিয়ে থাকে কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা। বিষয়ে নজরে আসতেই এলাকার তরফ থেকে রিপনকে একাধিক বার সতর্ক করার চেষ্টা করা হলেও সে নাকি ফনা ধরে বেকিয়ে বসে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এমন অসামাজিক কাজকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোটা এলাকার লোকজন তার বাড়ি গেরাও করে থাকে এবং পুলিশে খবর দিলে কলমচৌড়া থানার ওসি নাড়ু গোপাল দেব, সাব ইন্সপেক্টর সুপ্রতিম দে, বিশ্বজিৎ দেববর্মা, অসীম ভৌমিক, শান্তি ত্রিপুরা, সহ বিশাল পুলিশ টিএসআর গিয়ে সেখানে হাজির হয়। এলাকাবাসির উপস্থিতিতে টানা প্রায় চার ঘন্টা তল্লাশি চালিয়ে তার ঘরের ভিতরে ভাতের হাড়ি থেকে নেশা সামগ্রী এবং সিরিজ উদ্ধার করা হয়। যদিও অভিযান চলাকালে কয়েক দফায় উত্তেজিত প্রমিলারা তাকে মারার জন্য তেড়ে আসে। পুলিশের কঠোরতায় গনরোস থেকে রক্ষা পায় যুবক রিপন মিয়া। তবে তার বাড়ি ঘরে বেশ ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত লোকজন। পরবর্তীতে আরও অধিক সংখ্যক আরক্ষা বাহিনী হাজির হয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত রিপন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। যদিও এমন ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেখানে। কলমচৌড়া আরক্ষা প্রশাসনের তরফেও তার বাড়িতে নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশী নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে।