ত্রিপুরার অগোচর, নির্জন এক পাহাড়ি জনপদ—যেখানে প্রকৃতি যেমন সুন্দর, তেমনই জীবনের সংগ্রামও কঠিন। ঠিক সেই ৪৭ মাইল নামের পাহাড়ের পাদদেশে, যেখানে আঠারো মুড়ার শিরা-শিরায় গাঁথা আছে মানুষের জীবনসংগ্রামের ইতিহাস—সেইখানেই দেখা যায় মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মাকে, এক জন নেতা হিসেবে নয়, এক জন আপনজন হিসেবে।
তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি আরডি ব্লকের অন্তর্গত এই জনপদে তিনি পা রাখেন, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অটুট সংকল্প নিয়ে। নির্লিপ্ত নয়, বরং আন্তরিক হৃদয়ে মানুষজনের সুখ-দুঃখ, আশা-নিরাশার গল্প শোনেন তিনি। কেউ বলেন, পানীয় জল নেই; কেউ জানান, ভাঙা রাস্তা যেন জীবনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে; আবার কেউ তুলে ধরেন সরকারি নথিপত্রের অভাবে বঞ্চনার কাহিনি।
মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার চোখে তখন শুধুই করুণা নয়—দায়িত্ব, আন্তরিকতা এবং কর্মপরিকল্পনার দীপ্তি। তিনি বলেন, “এই জনপদের প্রতিটি কণ্ঠ আমার কাছে আহ্বান। আমি এসেছি শুনতে, বুঝতে, এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে।”
‘হর ঘর জল’ মিশনের অধীনে একটি আধুনিক ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের কাজ এখন দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। খুব শীঘ্রই প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ধারা—একটি মৌলিক অধিকার, যা এতদিন অধরা ছিল।
তিনি আশ্বাস দেন, এই অঞ্চলের প্রতিটি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, তিনি বলেন, “আমি সরকারের প্রতিনিধি হলেও, আমি তার চেয়েও বেশি একজন মানবসেবী। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমার ধর্ম, তাদের কল্যাণে কাজ করাই আমার সংকল্প।”
এই দৃশ্য যেন এক আলোর রেখা—পাহাড়, অরণ্য আর কঠিন বাস্তবতার মাঝে একজন মানুষের প্রতিশ্রুতি, যে কথা শুধু শোনে না, কাজেও রূপ দেয়।
Leave a Comment