কিছুদিন দেরি হলেও নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার সহ নাবালিকা অপহরণকারীকে জালে তুলে দক্ষতার পরিচয় দিল আমতলী থানার পুলিশ। জানা গেছে গত ২৫ আগস্ট আমতলী থানার অন্তর্গত সেকেরকোট এলাকার ১৪ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে বিশালগড় থানার অন্তর্গত চাম্পামুরা বেগুনিয়ামুরা এলাকার সজল ভৌমিকের ছেলে রূপক ভৌমিক অপহরণ করে নিয়ে যায়। করেন না বালিকা মেয়েটির পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত রূপক ভৌমিকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনে লিখিত আকারে মামলা দায়ের করে। আমতলী থানার পুলিশ যথারীতি ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে ৮৭,৬৪ ধারায় মামলা নথিভূক্ত করে নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার সহ অপহরণকারীকে জালে তুলতে সর্বত্র জাল বিস্তার করেছিল। এদিকে আমতলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুস্মিতা দেবনাথ মামলার তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব পেয়ে নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার সহ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে রাজ্যের সব কয়টি থানায় মেসেজ পাঠিয়ে দেয়। অবশেষে কিছুদিন দেরি হলেও আমতলী থানার ওসি স্মৃতি কান্ত বন্ধন সহ মামলার তদন্তকারী অফিসার সুস্মিতা দেবনাথ এর কাছে গোপন সংবাদ আসে যে অপহরণকারী রূপক ভৌমিক নাবালিকা মেয়েটিকে অমরপুর থানা এলাকায় আটকে রেখেছে। পরে আমতলী থানার পুলিশ অমরপুর থানার পুলিশের সাহায্যে শুক্রবার রাতে অপহরণকারী রূপক ভৌমিককে গ্রেফতারসহ নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করে অমরপুর থানায় নিয়ে আসে এবং সেখান থেকে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার শেষে শনিবার সকালে অভিযুক্ত অপহরণকারী রূপক ভৌমিককে সহ নাবালিকা মেয়েটিকে আমতলী থানায় নিয়ে আসে। শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত অপহরণকারী রূপক ভৌমিককে আমতলী থানার পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে রবিবার নাবালিকা মেয়েটিকে আইনের নিয়ম অনুসারে মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে এবং আগামী সোমবার আদালত নাবালিকা মেয়েটির জবানবন্দী রেকর্ড করবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার। এদিকে শনিবার রাতে আমতলী থানার ওসি স্মৃতিকান্ত বর্ধন নাবালিকা অপহরণের ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন এবং তিনি জানিয়েছেন আমতলী থানায় ইতিমধ্যে যতগুলি নাবালিকা অপহরণ এবং নিখুঁজের অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে আমতলী থানার পুলিশ দক্ষতার সাথে বেশিরভাগ ঘটনায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে যদিও দুই একজন উদ্ধারে বাকি থাকলে তাদেরকে খুব শীঘ্রই পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হবে।