দপ্তর কাজ না করার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করতে বাধ্য হয়েছে!
ঘটনা, কাঠালিয়া ব্লকের অন্তর্গত সীমান্ত গ্রাম কালি কৃষ্ণনগর যাওয়ার সড়কটি। সোনামুড়া টু বিলোনিয়া দ্বারা সড়ক থেকে দক্ষিণ মহেশপুরে বুক চিরে একেবারে ছয় কিলোমিটার সড়ক সীমান্ত গ্রাম পঞ্চায়েত কালী কৃষ্ণনগর বাজার অব্দি সব সময় যোগাযোগের মাধ্যম। এছাড়া মিশ্র জনবসতি সীমান্ত গ্রামের তেমন কোন যান চলাচলের নেই কোন সড়ক।
বিগত কয়েকদিন আগে ভয়াবহ বন্যার ফলে এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে টিলাভূমি ভেঙে অথবা বালি মাটি এসে একাকার হয়ে আছে। ছোট মাঝারি গাড়ি চলাচল করাও কষ্টকর। যে কারণে বাইক থেকে শুরু করে অটো গাড়ি একাধিক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়েছে।
কিন্তু, একেবারে নির্বিকার কাঠালিয়া পিডব্লিউ দপ্তরের আধিকারিক ঝুলন মল্লিক। উনাকে নাকি বহুদিন ধরে রাস্তার সংস্কার করে দেওয়ার জন্য কালি কৃষ্ণনগরের পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান বারবার ফোন করে জানিয়েছেন।
কিন্তু, উনি ফোন রিসিভ করেন না। পরবর্তী সময় অফিসের এসেও উনার পাত্তা পাওয়া যায় না।
গত দুইদিন ধরে কালী কৃষ্ণনগর পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান উদ্যোগ নিয়ে গ্রামের অন্যান্য মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করে যেখানে যেখানে মাটি পড়ে রাস্তা ব্লক হয়ে আছে, এই মাটিগুলো কোদাল দিয়ে কেটে কেটে ওরা ভর্তি করে নিজেরাই অন্যত্র ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ১৩ই সেপ্টেম্বর সকাল বেলায় সংবাদ কর্মীকে ডেকে নিয়ে কালী কৃষ্ণনগর পঞ্চায়েতের প্রধান বিজয় মজুমদার এবং উপপ্রধান হারাধন পাল তীব্র সমালোচনায় মুখরহন পি ডব্লিউ ডি দপ্তরের আধিকারিক ঝুলন মল্লিকের বিরুদ্ধে। এমনকি একেবারে উত্তপ্ত হয়ে প্রধান এবং উপপ্রধান জানিয়েছেন বর্তমান সরকারকে কালিমা লিপ্ত করার জন্য কাঠালিয়া, পি ডব্লিউ ডি দপ্তরের আধিকারিক সাম্প্রতিক গভীর চক্রান্তেই লিপ্ত। পঞ্চায়েতের কোন সমস্যা নিয়ে গেলে বিশেষ করে রাস্তার বিষয়ে উনি কর্ণপাতই করেন না। এমনটাই অভিযোগ করেন বিশেষ করে পঞ্চায়েত প্রধান বিজয় মজুমদার। শুধু প্রধান নয়! মাটি কাটিংয়ে যে সমস্ত মানুষ দেখা গেল তারা সবাই একই কথা বলছেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কাঠালিয়া পুত্- দপ্তরের এই জাতীয় ভূমিকা বহু আগে থেকেই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের নজরে এসে গেছে।
আজকেই কালি কৃষ্ণনগরের প্রধান এবং প্রধান সংবাদকর্মীকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, উনার বিরুদ্ধে আমরা সবাই মিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো।