সুখকর্তা দুখ হরতা বার্তা বিঘ্নাচী
নূর্বী পূর্বী প্রেম কৃপা জযাচী,
সর্বাংগী সুন্দর উড়ী ছে দুরাংচী
কাংতি ঝড়কে মাদ মুকতা পদাংচী
জৈদেব জৈদেব জয মংগল মূর্তি
দর্শন মাত্রে মন
কামনা পূর্তি জৈদেব জৈদেব। এই স্লোক শোভিত গণেশ বন্দনা এখন সর্বত্র। সিদ্ধি বিনায়ক গনেশ বন্দনায় ব্রতি হয়েছে রাজ্যবাসী। বলাচলে শারদোৎসব, দিপাবলীর পর গোণেশ চতুর্থী এখন রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। রাজধানীতে প্রতি বছর গোনেশ পুজোর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এবছরও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে পুজোর সংখ্যা। তার মধ্যে শহরের রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গন, জেকশন গেইট, পোস্ট অফিস চৌমুহনী, চন্দ্রপুর, শান্তিপাড়া, অগ্রগামী ক্লাব সহ বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের গনেশ পুজো। রবীন্দ্রভবনের সামনের গনপতি সামাজিক সংস্থার গণেশ বন্দনা বলা চলে রাজধানী শহরের প্রথম গণেশ পুজো। এবছর সর্বাগ্রে তারাই পুজোর উদ্ভোধন করেছেন বৃহস্পতিবার। জগন্নাথ জিও মন্দিনের গুরুজির হাত ধরে পুজো মন্ডপের উদ্ভোদন হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার হাত ধরে উদ্ভোদন হয় জেকশন গেইট সংলগ্ন ওরিয়েন্ট মার্কেটের সামনের গণেশ পুজোর। গোটা শহর আলোকে মালায় সেজে উঠেছে। বাহারী লাইটিং পুজো মন্ডপের পাশাপাশি শহর আগরতলাকে আলোকিত করেছে। গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে শহরে লোক সমাগমও ভারী মাত্রায় লক্ষ্য করা গেছে। বাজার গুলিও ক্রেতা বিক্রেতায় জমজমাট। আগামী পাচদিন চলবে সিদ্ধি বিনায়ক গনেশ পুজো। গণেশোৎসব হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব। শিব ও পার্বতী পুত্র গজানন গণেশ হিন্দুদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এই দিন গণেশ তার ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল ও তেলুগু ভাষায় এই উৎসব বিনায়ক চতুর্থী বা বিনায়ক চবিথি নামেও পরিচিত। রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় গনপতি বন্দনা বলে মত ব্যাক্ত করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা।