নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ অক্টোবর :
শহর আগরতলার বাধারঘাট থেকে মাথা অর্ধন্যাড়া অবস্থায় উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর জবানবন্দি নিলেন পশ্চিম জেলা প্রশাসনের ডিসিএম সুস্মিতা চক্রবর্তী। শনিবার জিবি হাসপাতালে গিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ডিসিএম জানান, মহিলার সঙ্গে গণধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তদন্তে জানা গেছে, গত ৯ অক্টোবর রাতে গৃহবধূ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। হাসপাতালের চিকিৎসক ও ডিসিএম উভয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, মহিলার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন বা ধর্ষণের ট্রেস পাওয়া যায়নি।
ডিসিএম আরও জানান, মহিলা মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত অবস্থায় আছেন এবং মাথার চুল কে কেটেছে, সে বিষয়ে তিনিও অনিশ্চিত। চিকিৎসকদের বক্তব্যেও স্পষ্ট হয়েছে, শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ঘটনার জেরে পুলিশ প্রশাসনের তরফেও প্রেস বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে জানানো হয়, ১০ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ভিডিওর পরই আমতলী থানার উদ্যোগে তদন্ত শুরু হয়। মহিলা পুলিশ অফিসারদের দল হাসপাতালে গিয়ে মহিলার বক্তব্য নথিভুক্ত করে। সেখানে গৃহবধূ নিজেই স্বীকার করেন, তিনি সেদিন রাতে মদ্যপান করেছিলেন এবং পরের দিন কী বলেছেন তা মনে নেই।
তিনি স্পষ্টভাবে জানান, কেউ তাকে ধর্ষণ করেনি। এরপরও কিছু সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচারিত হওয়ায় জেলা প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করে জানিয়েছে— যাচাই না করা তথ্য প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে।
তবে সাধারণ মানুষের মনে এখনও প্রশ্ন রয়ে গেছে— যদি কিছুই না ঘটে থাকে, তবে গৃহবধূর মাথার চুল কে কেটেছিল? এবং পরিবারের কেউ কেন এখনো হাসপাতালে তাকে দেখতে যাননি?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর এখনও মেলেনি।