তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় রাজ্যপালের সচিবের নিকট স্মারকলিপি বঙ্গ নেতৃত্বের
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা ৯ অক্টোবর :
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজ্য ত্যাগের আগে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সচিব ইউ. কে. চাকমার নিকট তিন দফা দাবি সহ স্মারকলিপি প্রদান করেন বঙ্গ নেতৃত্ব।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর আগরতলায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা পার্টি অফিসে ক্ষমতাসীন বিজেপির সদস্য ও সমর্থকরা সহিংসভাবে আক্রমণ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এই নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটে পুলিশের উপস্থিতিতেই, যা গণতন্ত্রের উপর এক গুরুতর আঘাত।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “এই আক্রমণ রাজনৈতিক আগ্রাসনের স্পষ্ট উদাহরণ। ভিন্নমত পোষণের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক বহুত্বের উপর এটি এক গুরুতর অবমাননা।” তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেছেন যে তাদের কর্মীরা তৃণমূলের পতাকা, পোস্টার ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছেন — যা এই হামলার পরিকল্পিত চরিত্র স্পষ্ট করে।
তৃণমূল প্রতিনিধিদল আরও অভিযোগ করে, ত্রিপুরায় পৌঁছানোর পর তাদের পার্টি অফিসে যেতে বাধা দেওয়া হয়, স্থানীয় বিক্রেতাদের হুমকি দেওয়া হয় এবং নির্ধারিত গাড়ি চাপের মুখে বাতিল করা হয়। এইসব ঘটনা রাজনৈতিক ভয় দেখানোর একটি সুপরিকল্পিত কৌশল বলেই দাবি দলের।
কুনাল ঘোষ বলেন, “আমাদের কর্মী ও নেতাদের নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে, জনসমক্ষে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ বহু সাংসদ ও নেতা একাধিকবার আক্রমণ ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবিগুলি:
-
৭ অক্টোবরের হামলার নিরপেক্ষ ও সময়সীমাবদ্ধ বিচার বিভাগীয় তদন্ত।
-
ঘটনায় যুক্ত সকল অপরাধীর দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার।
-
পুলিশের ব্যর্থতার জন্য স্পষ্ট প্রশাসনিক জবাবদিহিতা।
-
ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বঙ্গ নেতৃত্ব জানায়, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল যেন অবিলম্বে সিদ্ধান্তমূলক হস্তক্ষেপ করেন এবং ত্রিপুরায় আইনের শাসন পুনরুদ্ধার করেন।”
তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি — “গণতন্ত্রকে ভয়, হুমকি ও সহিংসতার মাধ্যমে স্তব্ধ করা যায় না।”