প্রিপেইড ইলেকট্রিক মিটার নিয়ে ভোগান্তি

2 Min Read
প্রিপেইড ইলেকট্রিক মিটার

প্রিপেইড মিটার নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে কুমারঘাট

ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। রাজ্যজুড়ে প্রিপেইড মিটার বসানোর পর থেকেই একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এবার ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটে রিচার্জ কাউন্টার আগেভাগে বন্ধ হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রাহকরা।

সরকারের আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম লিমিটেড (TSECL) গ্রাহকদের ঘরে ঘরে প্রিপেইড মিটার বসিয়েছে। কিন্তু এতে দিন দিন দুর্ভোগ বাড়ছে।

আগেভাগে বন্ধ রিচার্জ কাউন্টার

ঘটনাটি ঘটে কুমারঘাট বিদ্যুৎ নিগম অফিসে। নির্ধারিত সময়ের আগেই রিচার্জ কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। অফিসে উপস্থিত গ্রাহকরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গ্রাহক রূপম দেবনাথ বলেন,

“রিচার্জ করতেই অফিসে এসেছিলাম। কিন্তু দেখি কাউন্টার বন্ধ। কর্তৃপক্ষ জানালেন পুজো উপলক্ষে সময় কমানো হয়েছে, কিন্তু আমাদের কাউকে আগে জানানো হয়নি।”

আরও এক গ্রাহক উজ্জ্বল দেবনাথ অভিযোগ করেন,

“দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত রিচার্জ দেওয়ার কথা থাকলেও একটার মধ্যে কাউন্টার বন্ধ করা হয়। অফিস না খুললে চারদিন অন্ধকারে থাকতে হতো।”

ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা অফিসে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে আবার কাউন্টার খুলে দেন।

সাধারণ মানুষের দাবি

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থায় প্রতিদিন রিচার্জের ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন,

“এটি আধুনিকীকরণ নয়, বরং গ্রাহকদের জন্য নতুন যন্ত্রণা।”

তাদের দাবি, আগের পোস্টপেইড মিটার ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হোক, যাতে সাধারণ মানুষকে রিচার্জের জন্য হেনস্থা হতে না হয়।

উপসংহার

কুমারঘাটের এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—প্রিপেইড মিটার চালুর পর থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। সাধারণ মানুষের দাবি একটাই, “রিচার্জ নয়, আলো চাই।”

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version