দেবীপক্ষের আগে চলে পিতৃপক্ষ, যা ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু হয়ে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পণ, পিণ্ড দান ও শ্রাদ্ধ কর্ম পালন করা হয়।
শাস্ত্র মতে, পিতৃপক্ষকালে পূর্বপুরুষরা মর্ত্যে নেমে এসে তাঁদের বংশধরদের কাছ থেকে জল ও দান গ্রহণ করেন। তাই এই সময়টি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন দিঘী ও জলাশয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে ভিড় জমায় ভক্তরা। নদী, পুকুর ও ঘাট এলাকায় এক অনন্য আধ্যাত্মিক পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।
বিশেষত ভোর রাত থেকেই লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়িতে তর্পণ করার জন্য ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করে তাঁদের আশীর্বাদ কামনা করেন।
এই আচারকে ঘিরে গোটা রাজ্যে এক গম্ভীর ও ধর্মীয় আবহ তৈরি হয়। পিতৃপক্ষের সমাপ্তির পরই শুরু হবে দেবীপক্ষ, যার মধ্য দিয়েই দুর্গাপূজার আনন্দে মেতে উঠবে সমগ্র ত্রিপুরা।