রাতের আঁধারকে হাতিয়ার করে প্রতাপগরে সিপিআইএম পার্টি অফিসে বুলডোজার চালানো হয়েছে। এই ঘটনার ফলে এলাকায় ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, দিনের আলোয় শাসকদলের সামনে দাঁড়ানোর সাহস নেই, তাই রাতের আঁধারে সন্ত্রাসের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে। বামফ্রন্টের দাবি, সরকারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমছে এবং সেই ভয় ঢাকতেই বিরোধী শক্তির কণ্ঠ রুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ আসলে সরকারের ভয় প্রকাশ করছে। জনজীবনের সমস্যা—বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি—এবং নাগরিকের ক্ষোভের মধ্যেই প্রশাসন বিরোধীদের দমানোর কাজে ব্যস্ত।
সিপিআইএম-এর স্থানীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়েছেন, “বুলডোজার চালানো যাবে, কিন্তু আন্দোলনের শক্তি ভাঙা যাবে না। মানুষের পাশে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবেই।”
প্রতাপগরের ঘটনা পরিষ্কার করছে, রাতের আঁধারে ভয় দেখানো হলেও জনগণের কণ্ঠস্বর সহজে রুদ্ধ করা সম্ভব নয়। এই ঘটনা রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তুলেছে—এভাবে কতদিন ভয় দেখিয়ে মানুষের কণ্ঠরোধ করা যাবে?