পাহাড়ে দুর্বল সংগঠন, এডিসি ভোটে মথা ভরসা বিজেপির
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৫ : আসন্ন ভিলেজ কাউন্সিল ও টিটিএএডিসি নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে পাহাড়ি রাজনীতিতে ফের একবার নতুন সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে। বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি যে তারা সংগঠনগতভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত, বাস্তবে পাহাড়ি জনজাতি সমাজে এখনও গেরুয়া শিবিরের শক্ত ভিট এখনো গড়ে ওঠেনি। রাজনৈতিক মহলের বিষেজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন ঘিরে প্রদেশ বিজেপি সক্রিয় হলেও পাহাড়ের ভোটে একক শক্তিতে লড়াই করার সক্ষমতা নেই তাদের। ফলে মথা ও আইপিএফটির সঙ্গে জোটকেই আঁকড়ে ধরতে বাধ্য হচ্ছে দল।
মঙ্গলবার জনজাতি মোর্চার সাংগঠনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা দাবি করেন, ভিলেজ কমিটি থেকে এডিসি—প্রতিটি নির্বাচনের জন্য বিজেপি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের দুর্বলতার কারণে বিজেপি আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মথার সহায়তা ছাড়া বিজেপির পক্ষে পাহাড়ে ভোটযুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন।
বিশেষ সূত্রের খবর, এতদিন যিনি কার্যত উপেক্ষিত ছিলেন, সেই প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরাকেই এখন পাহাড়ি জনজাতি সমাজে বিজেপির প্রধান মুখ করে তুলে ধরতে চাইছে প্রদেশ নেতৃত্ব। তবে দেরিতে নেওয়া এই কৌশল কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবিরই নয়, দলের ভেতরেও অনেকে।
বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি এবং বর্তমান সরকারের উদ্যোগে পাহাড়ের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। বিপরীতে বিরোধীরা বলছে, সংগঠন দুর্বল হওয়ায় এবং স্বতন্ত্রভাবে লড়াই করার ক্ষমতা না থাকায়, শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে ফের মথার কাঁধে ভর করতে হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন এডিসি নির্বাচনে এই সমীকরণই মূল ফ্যাক্টর হিসেবে সামনে আসবে। ফলে পাহাড়ি রাজনীতিতে মথা-বিজেপি জোট আবারও বড় ভূমিকা নিতে চলেছে, এতে কোন সংশয় নেই কারো।