
নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া:
তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক কার্যালয়ের দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগকে ঘিরে ফের উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ, সরকারি আইন অমান্য করে এবং বয়সসীমা উপেক্ষা করে কিছু “মুখ চেনা” ব্যক্তিকে স্বেচ্ছাসেবক ট্রেনিংয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সীরা সিভিল ডিফেন্স বা দুর্যোগ মোকাবেলায় যোগ দিতে পারে না। অথচ অভিযোগ উঠেছে, সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবক বিবেক ভট্টাচার্য ও সুমন দেবনাথ নিজেদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে ১৮ বছর পূর্ণ না হলেও ট্রেনিং করাচ্ছেন। অন্যদিকে, বয়সসীমা পূর্ণ থাকা সত্ত্বেও যাদের সাথে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা নেই, তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।
📌 ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে এবং ২৬ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ট্রেনিং-এর দ্বিতীয় দিনেই ১৮ বছরের নিচে থাকা অংশগ্রহণকারীদের বের করে দেওয়া হয়।
📌 এই ট্রেনিং চলছে ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক কার্যালয়ে।
প্রশ্ন উঠছে —
-
বয়স প্রমাণপত্র যাচাই না করেই কিভাবে ট্রেনিংয়ে অংশ নিতে দেওয়া হলো?
-
এটি কি শুধুই গাফিলতি, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে “মুখ চেনা”র ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হয়েছে?
শুভবুদ্ধি মহলের দাবি, এভাবে অপরিণত বয়সীদের হাতে দায়িত্ব দিলে দুর্যোগ মোকাবেলার সময় সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয় না। সম্প্রতি চাকমাঘাটে লরি চালক মিহিরের মৃত্যুর ঘটনা সেই ব্যর্থতার জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়—সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন সত্যিই তদন্তে নামে, নাকি অভিযোগ আবারো চাপা পড়ে যায়।