উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর মহকুমায় নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবকের বিরুদ্ধে কঠোর রায় ঘোষণা করল বিশেষ আদালত।
ঘটনাটি ঘটে ২০২৩ সালে। মাত্র ১৩ বছরের এক নাবালিকা হঠাৎ অসুস্থ বোধ করে বমি করতে শুরু করলে পরিবারের সন্দেহ জাগে। ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল তাকে কাঞ্চনপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, নাবালিকাটি গর্ভবতী।
এরপর মা মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নাবালিকা জানায়, তাঁদের প্রতিবেশী মশেন্দ্র শব্দকর ও নির্মল শব্দকর তার বাবা-মার অনুপস্থিতিতে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেছে।
ঘটনার সত্যতা জানার পর পরদিন, অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল ২০২৩-এ মেয়েটির মা কাঞ্চনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করে এবং তদন্তকারী অফিসার নরেন্দ্র রিয়াং দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর মঙ্গলবার ধর্মনগরের বিশেষ আদালতে ২৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করে বিচারপতি অংশুমান দেববর্মা রায় ঘোষণা করেন।
আদালত অভিযুক্ত মশেন্দ্র ও নির্মল শব্দকরকে ভারতীয় দণ্ডবিধির 376(2)(i) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি POCSO আইনের 4 ধারায়ও তাঁদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সাজা ভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সরকারি পক্ষের আইনজীবী সুদর্শন শর্মা রায় ঘোষণার পর বলেন, “এই রায় আগামী দিনে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ রোধে বড় ভূমিকা রাখবে।”