কৈলাশহরে মদমত্ত যুবতীর তাণ্ডব

3 Min Read

সংস্কৃতির শহরে একি দৃশ্য! মধ্য রাতে খোদ শহরের উপকন্ঠে আকন্ঠ মদ্যপান করে রাস্তার পাশে অচৈতন্য অবস্থায় এক মহিলা পড়ে থাকলেও কেই সেই মহিলাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলো না। পরবর্তী সময়ে বহিরাগত কিছু যুবকরা মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনা ঊনকোটি জেলার জেলাসদর কৈলাসহর শহরে। মংগলবার মধ্য রাতে কৈলাসহর শহরের বৌলাপাশা এলাকায় মূল সড়কের পাশে এক মহিলা পড়ে থাকলেও পথচারী সহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা মহিলাকে উদ্ধার করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরবর্তী সময়ে শহরের অন্য এলাকার যুবকরা শহর থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় এই দৃশ্য দেখে মহিলার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও মহিলা কোনো ধরনের কথার উত্তর দিতে পারছিলো না। কারণ, মহিলা অতিরিক্ত মদ্যপান করে থাকায় পুরোপুরি সুস্থ ছিলোনা। যুবকরা ঘাবড়ে গিয়ে স্থানীয় সংবাদ প্রতিনিধিদের খবর দেয় এবং খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় সংবাদ প্রতিনিধিরা। পরবর্তী সময়ে সংবাদ প্রতিনিধিদের সাহায্য নিয়ে যুবকরা মহিলাকে উদ্ধার করে ইরিক্সাতে তোলে স্থানীয় রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মহিলাটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী সহ হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ডদের সাথে অভব্য আচরণ এবং অশ্লীল আচরণ করায় হাসপাতালের চিকিৎসক কৈলাসহর থানার ওসি সুকান্ত সেন চৌধুরীর নিকট অভিযোগ জানালে পুলিশ হাসপাতালে এসে মহিলাকে থানায় নিয়ে যায়। সাংস্কৃতিক শহর কৈলাসহর যেন ধীরে ধীরে রোমান্স শহরে পরিনত হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের মেয়েরা বয় ফ্রেন্ড কিংবা অন্য কারোর সাথে মদ্যপান করে নিজের অজান্তেই শারিরীক সম্পর্ক করে মেয়েকে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে ছেলেরা। বাইশ এপ্রিল শহরের বৌলাপাশা এলাকায় যে ঘটনা দেখা গেল, এমন ঘটনা বিগত পাঁচ মাস পূর্বে পনেরো নভেম্বর শহরের মূক বধির স্কুলের কাছে গভীর রাতে রাস্তার পাশে এক যুবতীকে উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তোলে দিয়েছিলো জনতা। সেই যুবতীও মদমত্ত অবস্থায় ছিলো। সেইদিন অর্থাৎ পনেরো নভেম্বর শহরের এক বনেদী স্কুল হিসেবে সবার কাছে পরিচিত শিশু নিকেতন স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রাত্রিবেলা গানের অনুস্টান চলছিলো। দিনের পর দিন গভীর রাতে সাংস্কৃতিক শহরে রাস্তার পাশে অচৈতন্য অবস্থায় মদমত্ত যুবতীদের উদ্ধারের ঘটনায় গোটা শহরের অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। শহরে একের পর এক এমন ঘটনায় শহরের প্রবীন নাগরিকরা সরব হয়েছেন। এব্যাপারে শহরের প্রবীন নাগরিক তথা সরকারি অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডক্টর দেবাশীষ তরফদার জানান যে, এই ঘটনায় প্রমান করে সাংস্কৃতিক শহর কৈলাসহরে সামাজিক অবক্ষয় হচ্ছে। আগে পুরুষদের মধ্যে মদ্যপান সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে মেয়ারাও মদ্যপান করছে। ছেলেমেয়েরা বিদেশী সংস্কৃতি আমদানি করছে। এরজন্য মূল্যহীন শিক্ষা এবং মোবাইলকেই দায়ী করেন ডক্টর দেবাশীষ তরফদার

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version