কদমতলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুই যুবক দ্বারা ধর্ষণের শিকার নাবালিকা।
শনিবার রাত আনুমানিক আটটা নাগাদ উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানা এলাকার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া চৌদ্দ বছরের এক নাবালিকা পাশের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবার সময় তাকে বলপূর্বক মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে কুর্তি মাদ্রাসার নব নির্মিত হোস্টেলে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে ইমরান হোসেন (৩৫,পিতা হাবিবুর রহমান) ও এক ষোল বছরের নাবালকের বিরুদ্ধে।অভিযুক্তদের বাড়ি কদমতলা থানাধীন কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউ বাড়ি এলাকায়।পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ অভিযুক্ত ইমরানকে গ্রেফতার করলেও অপর অভিযুক্ত ষোল বছরের নাবালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।নির্যাতিতার মা জানান,তার স্বামী কর্মসূত্রে বহিঃ রাজ্যের ডিমাপুরে থাকেন।তাই বাড়িতে ছেলে মেয়েকে নিয়ে তিনি একাই থাকেন।এদিন রাতে নিকট আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবার পথে তার চৌদ্দ বছরের নাবালিকা মেয়েকে তুলে নিয়ে তার উপর দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়।পড়ে তার মেয়ে বাড়ি ফিরে তাকে সবকিছু খুলে বললে তিনি থানার দারস্থ হয়ে নামধাম দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।তিনি জানান,ধর্ষনকারীরা।এদিকে অভিযুক্তরা নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে বলে যদি সে এই ঘটনা কাউকে জানায় তাহলে সামাজিক মাধ্যমে সবকিছু ছেড়ে দেবে।গোটা ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের আর্জি জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা।স্হানীয় এক ব্যক্তি জানান,তিনি নাবালিকা মেয়েটির কান্না শুনে বেরিয়ে আসলে নির্যাতিতা মেয়েটি ও তার মা গোটা ঘটনাটি জানালে গ্রামবাসী মিলে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত ইমরান হোসেনকে আটক করে থানার হাতে সমঝে দেন।সাথে অপর অভিযুক্ত ষোল বছরের নাবালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তিনি জানান,এই ঘটনা মিটমাটের জন্য কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআই (এম) দলের বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন ফোন করে অনুরোধও করেছেন বলে তাঁর দাবি।তিনি জানান,ধৃত অভিযুক্ত বিধায়কের আপন ভাতিজা বলেও তাঁর দাবি।তিনি জানান,এধরনের ঘটনা কদমতলা এলাকায় নয় গোটা ত্রিপুরা রাজ্যেও যেন না ঘটে।কদমতলা থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত দেবনাথ জানান,একটি ধর্ষনের অভিযোগ হাতে পেয়ে ২৫ নম্বরের ১৩৭(২)/৭০(২)/৩(৫) ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬ অফ পক্সো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।একান্ডে ইমরান হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করলেও অপর এক নাবালক পলাতক।তার খুঁজেও তল্লাশি জারি রয়েছে।তিনি জানান,প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ বলেই ধারনা করা হচ্ছে।তবে মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসলেই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মাদ্রাসায় নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ত্রিপুরা কদমতলা
Leave a Comment