আগরতলা বর্ডার গোলচক্কর বিধ্বংসী আগুনে পুড়ল দোকানপাট

2 Min Read
Agartala Border Golchakkar Fire Incident | Planet Tripura News

বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে একসাথে পুড়ে ছাই তিনটি দোকান বর্ডার গোলচক্কর এলাকায়

। এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বর্ডার গোলচক্কর এলাকায়। ঘটনায় বিবরণে জানা যায়, এদিন সকালে এক মিষ্টির দোকানের কারখানা থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সূত্রপাত হয়। দোকানের কারিগর রান্নার গ্যাসের চুল্লি জ্বালিয়ে অন্যথায় চলে যান। তারপর এই রান্নার গ্যাসের চুল্লি থেকে কারখানার টিনের বেড়ায় আগুন লাগে। ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের দোকানে। বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে পেরে স্থানীয়রা খবর দেয় দমকল কর্মীদের।
দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলের ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপরও তিনটি দোকান পুরোপুরি ভাবে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান এলাকার বিধায়ক দীপক মজুমদার। তিনি অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি হওয়া দোকানগুলি পরিদর্শন করেন। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাথে। তারপর তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, মিষ্টির কারখানা থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে পাশের দোকানে তপন হালদার সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছেন। সরকারি ভাবে তাকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করা হবে। ইতিমধ্যে ডিসিএম সার্ভে করেছে। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা এরা পুনরায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

তবে উল্লেখ্য এদিন দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেকটাই বেগ হয়েছে। কারণ ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী থেকে বর্ডার গোল চক্কর যাওয়ার যে রাস্তা নতুন করে সংস্কার হয়েছে তার দুপাশের বেআইনিভাবে লরি সহ অন্যান্য গাড়ি পার্কিং করায় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয়। দিনরাত ২৪ ঘন্টা আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদারের বিধানসভা কেন্দ্রে এই রাস্তাটি এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বলা চলে। কারণ বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক আমদানি রপ্তানি হওয়ার এ রাস্তাটি স্থানীয় কিছু গাড়ির মালিক রাস্তায় বিশাল আকার লরি দাঁড় করিয়ে রাখে। রাস্তা প্রশস্ত হলেও বেআইনি পার্কিংয়ের কারণে রাস্তার অধিক অংশ দখল করে থাকছে লরি থেকে শুরু করে অন্যান্য যানবাহন। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা চরম ক্ষুব্ধ। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে রাস্তা সংস্কার হলেও এই রাস্তা ব্যবহার করতে গিয়ে দুর্ভোগে শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। ভোটব্যাংকের উপর প্রভাব পড়বে বলে মনে করে গাড়ির মালিকদের প্রশ্রয় দিয়ে রেখেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এর খেসারত দিতে হয় জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত থাকা কর্মীদের এবং সাধারণ মানুষকে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version