দূর্গা পূজার চাঁদার জুলুম: কদমতলার দুই সম্প্রদায়ের টানাপোড়েন

3 Min Read
কদমতলা: দূর্গা পূজার চাঁদার জুলুমের পেছনের সত্য | Kadamtala Tripura | Planet Tripura News

চাঁদার জুলুম বাজিতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি,ঘর বাড়ি ও গাড়িতে ভাঙচুর, আক্রান্ত মহিলা,লাগু কার্ফু।

 

Kadamtala Tripura :- বীভৎস পরিস্থিতি উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা এলাকায়। দূর্গা পূজার চাঁদার জুলুম বাজিতে হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। নিরীহ হিন্দু বাড়িতে হামলা, মারধর,গাড়ি ভাঙ্গচুর। পুলিশের দফায় দফায় মৃদু লাঠিচার্জ। জারি ১৬৩ বিএনএস কার্ফু। মোতায়েন বিশাল পুলিশ টিএসআর ও আধাসামরিক বাহিনী। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রবিবার দুপুর নাগাদ কদমতলা থানাধীন লালছড়া ইছাইরপাড় এলাকার বাসিন্দা জহর মিয়া তার নিকট আত্মীয়দের নিয়ে ওয়াগনার গাড়ি করে চিকিৎসার জন্য অসমের মাকুন্দা হাসপাতালে যাচ্ছিল।তখন কদমতলা হাপাইটিলা এলাকা সংলগ্ন ইন্ডিয়ান ক্লাবের সদস্যরা দূর্গা পূজার চাঁদার জন্য তাদের ওয়াগনার গাড়িটি দাঁড় করিয়ে চাঁদা দাবি করে। তখন চালকের আসনে বসে থাকা জহর মিয়া বলে হাসপাতাল থেকে আসার পথে দিয়ে যাবো।তখন ক্লাব সদস্যরা চাঁদা দিয়ে যেতে হবে জহর মিয়াকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ কদমতলা থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানান। মুহুর্তে শুনশান হয়ে যায় ব্যাস্ততম কদমতলা বাজার।সাথে চাঁদার জুলুম বাজিতে আক্রান্ত ভিন ধর্মী যুবক কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এরিমাঝে কিছু অতিউৎসাহী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ কদমতলা বাজারের কয়েকটি দোকানের বাইরে থাকা সরঞ্জামে ভাঙচুর চালায়।চালানো হয় কদমতলা বাজার এলাকার একাধিক বাড়িতে হামলা।ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। মারধর করা হয় হিন্দু মহিলাদের। মুহুর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জেরেমিয়া ডার্লং। এদিকে কদমতলা থানার ওসি জয়ন্ত দেবনাথ পরিস্থিতি সামাল দিতে মৃদু লাঠি চার্জ করেন।গোটা দিনভর কদমতলা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। মোতায়েন করা হয় পুলিশ,টিএসআর ও আধাসামরিক বাহিনী। পরবর্তীতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ চলে গেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ ঝড়ো হন। সন্ধ্যার পর পুলিশের অপর লাঠি চার্জে কয়েকজন নিরীহ দোকানি আঘাতপ্রাপ্ত হন। এদিকে রাত আটটা পর্যন্ত কদমতলা থানায় বসে থাকেন পুলিশ সুপার।তবে এদিন পুলিশ সুপারের ভূমিকায় সন্তোষ্ট হননি কেউই। যদিও পুলিশ সুপারের তুলনায় কদমতলা থানার ওসি জয়ন্ত দেবনাথের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। অবশেষে আইনশৃঙ্খলার কথা ভেবে সন্ধ্যা সোয়া সাতটা নাগাদ জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে কদমতলা কুর্তি বিধানসভা এলাকা জুড়ে ১৬৩ বিএনএস কার্ফু জারি করা হয়। সংবাদ লেখা পর্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি গোটা বিধানসভা জুড়ে।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version