পাচারকারীর হাতে রক্তাক্ত বিএসএফ জওয়ান। Boxanagar | Tripura
Boxanagar 04.10.2024 :- ঘটনাটি ঘটে বক্সনগর কলসিমুড়া দুধপুকুর সীমান্তের ১৫০ ব্যাটালিয়ন কলসিমুড়া বিওপি অধীনস্থ ১৮৯ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায়,ঘটনার বিবরণে জানা যায় শুক্রবার সকাল ৯ ঘটিকার সময় বাগবের গ্রাম পঞ্চায়েতের দুধপুকুর সীমান্ত এলাকায় ১৮৯ নং গেট এর সাথে লাগুয়া মুমিন মিয়ার বড় ছেলে রিয়াজ মিয়া গেট দিয়ে কাঠের পাট্টা লাগিয়ে চিনি পাচার করার সময় বিএসএফ জোয়ান বিষয়টি দেখতে পেয়ে এবং এই অবৈধ পাচারে বাধা প্রয়োগ করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াজ ও তার ভাই রিফাদ বাবা মোমিন ও তার মা মিলে বিএসএফ জুয়ানকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে রিয়াজ মিয়া একটি কাঠের টুকরো দিয়ে বিএসএফ জুয়ানকে মাথায় আঘাত করে। সাথে সাথেই তার মাথা দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। তার পরেও দুই ভাই ও মা বাপ মিলে বি এস এফ জোয়ানকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু বিএসএফ জোয়ান আত্মরক্ষার্থে শেষ পর্যন্ত তার ইনচার্জ রাইফেল থেকে উপরের দিকে এক রাউন্ড গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। পরে এলাকাবাসী গুলির শব্দ ও বিষয়টি শুনতে পেয়ে তড়িঘড়ি ১৮৯ নম্বর গেট ও টাওয়ারের সামনে চলে আসে। পরে একে একে বিএসএফ উদ্ধাতন কর্তৃপক্ষ ও এলাকার লোকজন এসে বিষয়টি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে,পরে এলাকার সমাজ সেবিক বাবুল মিয়া রক্তাক্ত বিএসএফ জুয়ানকে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবিপি হাসপাতালে রেফার করেন। জানা যায় বিএসএফ জোয়ানের মাথায় নয় টিরও বেশি সেলাই লাগে। মাথা দিয়ে প্রচুর রক্ত ঝরে। এই ঘটনার খবর পেয়ে কলমচৌড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে ছুটে গিয়ে বিএসএফ জুয়ানের খোঁজ খবর নিয়ে হামলাকারি পাচারকারী রিয়াদ ও তার পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। হামলাকারী রিয়াজ, রিফাত ও তার বাবা মা ঘটনার সাথে সাথেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তাদের বাড়ি ১৮৯নং গেটের সাথে। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানা যায় রিয়াজ, রিফাত ও তার বাবা মা সহ চারজনের নামে থানায় মামলা করা হয়। এই ঘটনায় পুরো সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানাযায় রিয়াজ চিনি পাচার ছাড়াও রোহিঙ্গা পাচার,মানব পাচার, গরু চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িত রয়েছে। তার এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে কয়েকবার তাকে জেলের গ্লানিও কাটতে হয়েছে। তারপরেও শোধরায়নি রিয়াজ। এখন দেখার বিষয় কলামচড়া থানার পুলিশ তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেন। নাকি রাজনৈতিক নেতাদের পদক্ষেপে বেকসুর খালাস হয়ে যায়।