পারিবারিক কলহের জেরে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ! ঘটনা পানিসাগর মহকুমার পূর্ব জলেবাসা তিন নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে -এলাকার বাসিন্দা শচীন্দ্র নাথের পুত্রবধু পাপিয়া নাথ বুধবার রাতে নিজ ঘরেই ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন। রাতে কাজ শেষে মৃতার স্বামী শৈলেন্দ্র নাথ ঘরে প্রবেশ করলে দেখতে পায় স্ত্রীর ফাঁসি দিয়ে ঝুলে আছে। সাথে সাথেইচিৎকার চেচামেচি করলে বাড়ির অন্যান্যরা ছুটে এসে মৃতার দেহ ফাঁসি থেকে নামিয়ে তড়িঘড়ি পানিসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গেছে দীর্ঘ প্রায় 13 বছর পূর্বে সামাজিক রীতিনীতি মেনেই কাঞ্চনপুরের সাতনালার বাসিন্দা পরিমল নাথের কন্যা পাপিয়া নাথের সাথে বিয়ে হয়েছিল জলেবাসার শচীন্দ্র নাথের ছেলে শৈলেন্দ্রনাথ এর সাথে। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পাপিয়ার উপর নানান অত্যাচার চালাতো। এমনকি তার অসুস্থতাতেও কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা করত না তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । বছর খানিক পূর্বে পাপিয়া শারীরিকভাবে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বড় বোন এসে তাকে চিকিৎসা করান। এতেও স্বামীর বাড়ির থেকে কোন সাহায্য মেলে নি তার । এমনকি বুধবার সকালেও ভাসুরের সন্তানদের নিয়ে পাপিয়ার সাথে ভাষুর ও তার জা এর সাথে বাক বিতন্ডা বাধে । এ বিষয়টি পাপিয়া জানিয়েছিল তার বড় বোনকে। এরই মধ্যে বুধবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ পাপিয়ার শশুর বাড়ির তরফে তার বাবাকে ফোন করে তার মৃত্যু সংবাদ জানানো হয় । রাতেই তার বাবা ও বড় বোন পানিসাগর হাসপাতালে ছুটে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে পানিসাগর হাসপাতালে মৃত গৃহবধুর ময়না তদন্তের পর দেহ টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । গৃহবধর ফাঁসিতে আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত গৃহবধূর পরিবার জানিয়েছে উনারা সুষ্ঠ বিচার এর জন্য পানি সাগর থানায় মামলা করবেন।