বাদল শীল খুনের ৬৭ দিন পর গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত।
বাদল শীল হত্যা মামলায় দুই অভিযুক্ত প্রদীপ নমঃ এবং পিংকু পৌদ্দারকে গ্রেপ্তার করল পি আর বাড়ী থানার পুলিশ।পুলিশ গোপন খবরের ভিত্তিতে রবিবার ভোর রাতে সোনামুড়া এবং মেলাঘরে যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত খুনিদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায় সোনামুড়া থেকে প্রদীপ নমঃ এবং মেলাঘর থেকে পিংকু পৌদ্দারকে আটক করা হয়। রবিবার ভোরে বাদল শীল হত্যা মামলায় দুই অভিযুক্তকে আটক করলে ধৃতদের সোমবার আদালতে সোপার্দ করা হবে পুলিশ জানায়। বাদল শীল হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত তিন জন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। প্রথমে গ্রেপ্তার করা অমল দাস নামে এক অভিযুক্তকে। অমল দাস বর্তমানে আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে রয়েছে।
ঘটনায় প্রকাশ ১২ জুলাই সন্ধায় চোত্তাখলা বাজারে পারিবারিক কাজে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে মারাক্তক ভাবে আহত হন সিপিআই(এম) নেতা এবং দক্ষিন ত্রিপুরা জেলা পরিষদের চার নং আসনের সিপিআই(এম) প্রার্থী বাদল শীল। মারাক্তক অাহত বাদল শীল জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জুলাই প্রয়াত হন। বিস্তিত ঘটনা জানিয়ে পি আর বাড়ী থানায় বাদল শীল হত্যার সাথে যুক্ত ছয় জনের নাম ঠিকানা দিয়ে মামলা দায়ের করে বাদল শীলের পরিবার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত ক্রমে প্রথমে অমল দাস নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে অনেকটা হাত তুলে নেয়। বাদল শীলের খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সিপিআই(এম) সহ বাদল শীলের পরিবার ও সাধারণ মানু্ষ ক্রমাগত ভাবে পুলিশের কাছে ডেপুটেশানে প্রশ্ন করতে থাকে। জনমানুষের প্রবল চাপে অবশেষে বাদল শীল হত্যার ঘটনার ৬৭ দিনপর অপর দুই অভিযুক্ত প্রদীপ নমঃ এবং পিংকু পৌদ্দারকে রবিবার ভোরে গ্রেপ্তার করে পি আর বাড়ী থানার পুলিশ। পুলিশ জানায় প্রদীপ নমঃকে সোনামুড়া এবং পিংকু পৌদ্দারকে মেলাঘর থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায় অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশের তদন্ত জারি রয়েছে। যদিও স্থানীয় মানুষের দাবি বাদল শীল হত্যা মামলা প্রত্যেক অভিযুক্ত চোত্তাখলায় রয়েছে পুলিশ চাইলে খুনের বাকি তিন অভিযুক্ত কেউ গ্রেপ্তার করতে পারে। স্থানীয় মানুষের দাবি শুধু খুনের অভিযুক্তরাই নয় বাদল শীল হত্যা মামলার সুষ্ঠ নিরপেক্ষ তদন্ত ক্রমে মূল মাষ্টার মাইন্ডদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেখাক রাজ্যে সুশাসন চলছে।