ছেলে এবং মায়ের যে মধুর সম্পর্ক রয়েছে তার ব্যতিক্রম যখন হয় তখন মা ছেলের মুখ দেখতে চায় না এবং ছেলে মার কোথায় সারা দেয়না। ঘটনাটি ঘটে ধর্মনগরের মধ্য নয়াপাড়া প্রীতম দাস নামে একটি ছেলের সাথে। আজ সকালে অর্থাৎ বুধবার সকালে প্রীতম দাস ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়। মার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে ফিরে নিতে অস্বীকার জানায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় মধ্যনয় করার উনিশ বর্ষীয় ছেলে প্রীতম নাথ তার মার সাথে দীর্ঘদিন যাবত দুর্ব্যবহার করে চলেছে। এমনকি তার মার নতুন মোবাইল সেটটি নিয়ে দুর্বৃত্তদের সহযোগিতায় বিভিন্ন দুর্বৃত্ত আনায় ব্রতী হয়েছে। খেলার জ্বালায় মা অতিষ্ঠ হয়ে অন্যত্র দিনযাপন করছেন। অবশেষে পাড়ার বড়দের সাথে প্রীতমের মা কথা বললে প্রীতমকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। প্রীতম পাড়ার নাচ দেখাতে যাওয়া ছাত্রীর মা রাজশ্রী ভট্টাচার্যের বাড়িতে রবিবার রাতে আশ্রয় নেন। রক্তাক্ত অবস্থায় রাজশ্রী ভট্টাচার্য প্রীতম কে আশ্রয় দেয়। কিন্তু বুধবার সকালে প্রীতম ফিনাইল খেয়ে নেয়। চোখ এ রাতে পারিনি রাজশ্রী ভট্টাচার্যের। তিনি প্রীতমকে প্রাথমিকভাবে বমি করিয়ে তারপর ধর্মনগরের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পিছনের দেহ থেকে অতিরিক্ত বিষ বের করে তাকে সুস্থ করে তোলে। ধর্মনগর থানার পুলিশের কাছে প্রীতমের মা এলাকার যে ব বরিষ্ঠ জনদের পাঠায় তারা প্রিতমকে বাড়িতে ঘুরিয়ে নেওয়ার পক্ষবাতি নয়। পুলিশ জানিয়েছে যে প্রীতম যেহেতু 19 বছর হয়ে গেছে যেদিকে ইচ্ছা যেতে পারে তার প্রতি তার মার আর কোন অধিকার নেই। এদিকে জানা গেছে রাজশ্রী ভট্টাচার্যের উপর ধর্মনগর থানায় মামলা হতে পারে। কিন্তু উনার কথা হচ্ছে একজনকে বাঁচালে নিরাপরা ধ না হয়ে যদি মামলা হয় তাহলে আর এই দুনিয়ায় কেউ কাউকে বাঁচাবার চেষ্টা করবেনা।