কমলনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্কুল সামগ্রী বিতরণ

2 Min Read

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ কমলনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল এর উদ্যোগে বুধবার এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল সামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নত করা এবং শিক্ষাজীবনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০ বক্সনগর বিধানসভার বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন। তার উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে এবং তিনি তাদের উদ্দেশ্যে প্রেরণাদায়ক বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বক্সনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপারসন স্বপ্ন নমঃ, জেলা শিক্ষা আধিকারিক, বক্সনগর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সুভাষচন্দ্র সাহা, সোনামুড়া থানার ওসি জয়ন্ত কুমার দে, এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে ২৪ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস, ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে জুতা, মিড ডে মিলের জন্য ৮০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে প্লেট বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ের জন্য একটি জেনারেটর,পিউরিফাইড জলের ফিল্টার এবং একটি আলোচনা টেবিলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী প্রদান করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নতি ও শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা সামগ্রী পেয়ে খুবই আনন্দিত হয় এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রধান অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়, যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন উপস্থিত অতিথিরা।
বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষা শুধুমাত্র একটি সনদ নয়, এটি ভবিষ্যতের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাতিয়ার।” তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে উৎসাহিত করেন এবং বড় স্বপ্ন দেখতে বলেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, “স্বপ্ন থাকতে হবে আমি ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, বড় অফিসার হবো, এবং চেষ্টার মাধ্যমে দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বে যাওয়া কোনো বড় বিষয় নয়।”
এছাড়া তিনি সমাজকে নেশামুক্ত করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েলের এই উদ্যোগকে তিনি অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মনে করেন এবং এই ধরনের কার্যক্রম সমাজের যুবকদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এই আয়োজনটি স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে। অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং অতিথিরা আয়োজনটির প্রশংসা করেন। তাছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

TAGGED:
Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version