অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে গাঁজা পাচারের সময় চুরাইবাড়ি পুলিশের হাতে আটক কোটি টাকা মূল্যের গাঁজা সহ লড়ি চালক। এবার মুড়ি তৈরীর মেশিনের ভেতরে করে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ লড়ি। আটক লড়ি চালক। এককথায় আরো একবার নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করেও ব্যার্থ হলো পাচারকারীরা। তেলিয়ামুড়া থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বুঝাই করে অসমের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথে চুরাইবাড়ি পুলিশের হাতে ধরা পরলো।এদিকে বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ তেলিয়ামুড়া থেকে অসমের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য চুরাইবাড়ি নাকা পয়েন্টে আসে TR01AQ -1516 নম্বরের একটি মিনি লড়ি। তখন ওসি খোকন সাহার নেতৃত্বে নাকা চেকিং এ থাকা পুলিশ গাড়িটি তল্লাশি করলে গাড়ির মধ্যে একটি মুড়ি তৈরির মেশিন দেখতে পায় পুলিশ। তখন তারা সন্দেহজনকভাবে ওই মেশিনটি খুলতেই গাঁজার প্যাকেট গুলি বেরিয়ে আসে। মেশিনের দুটি চেম্বার থেকে ঊনষাট প্যাকেটে মোট তিনশো পঁয়তাল্লিশ কেজি শুকনো গাঁজা জব্দ করা হয়। যার কালোবাজারি মূল্য প্রায় এক কোটি তিন লক্ষ টাকা বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জে ডার্লং। সঙ্গে আটক করা হয়েছে লড়ির চালক মনিতা মোহন জমাতিয়াকে (৪৫)(পিতা কৃষ্ণ বাঁশি জমাতিয়া)।তার বাড়ি খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়ার খামারবাড়ি এলাকায়। পুলিশি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক জানায় এই বিপুল পরিমাণ গাঁজাগুলি খোয়াই শহরের পদ্মবিল এলাকা থেকে বুঝাই করে নিয়ে আসছিল অসমে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে অবশ্য এই গাঁজা গুলি বিহারে পাচার করা হবে। এদিকে পুলিশ ধৃত চালকের বিরুদ্ধে এনডিপিএস আইনে একটি মামলা রুজু করে সার্বিক তদন্ত অব্যাহত রেখেছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।অপরদিকে পুলিশি ব্যাপক ধরপাকড়ের ফলে নেশা মাফিয়ারা এক প্রকার হাত-পা গুটিয়ে বসেছিল। কিন্তু পুনরায় তারা অত্যাধুনিক পন্থা অবলম্বন করে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছে। কিন্তু এতেও বাঁধ সেজেছে পুলিশ।