নদীর জলে ভাসমান অবস্থায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য দেহ দিয়েছে !
ঘটনার বিবরণে জানা যায় বেশ কয়েক মাস আগে আমতলী থানার অন্তর্গত ফুলতলী রাজেশ্বরী নগর এলাকার ইউনুস মিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন খাতুনের দুই যমজ সন্তান জন্ম হয়েছিল তারপর এক সন্তানের মৃত্যু হয়ে যায় তারপর থেকেই ইয়াসমিন খাতুন সন্তানের সুখে ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এরই মধ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইয়াসমিন খাতুন নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ইয়াসমিন খাতুনের স্বামী ইউনুছ মিয়া আমতলী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করান। এতদিন ধরে নিখোঁজ মহিলার পুনঃ সন্ধান পাচ্ছিল না ওনার আত্মীয় পরিজনরা সহ পুলিশ। অবশেষে শনিবার বিকেলে আমতলী থানার অন্তর্গত ঈশানচন্দ্র নগর গাবতলী এলাকার একটি নদীতে স্থানীয় এক যুবক একটি মৃতদেহ জলে ভাসতে দেখতে পায়। ঘটনার খবর গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই মানুষের ভিড় জমতে থাকে। খবর পেয়ে ছুটে আসে ইয়াসমিন খাতুনের স্বামী সহ পরিবারের অন্যান্যরা। খবর দেওয়া হয় আমতলী থানায়। খবর পেয়ে আমতলী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুস্মিতা দেবনাথ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যায়। খবর দেওয়া হয় ফরেনসিক টিমকে। খবর পেয়ে ফরেনসিক টিমের আধিকারিক রোগ গঠনাস্থলে ছুটে এসে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। মহিলার মৃতদেহটি নদীর পাড়ে তুলে আনতেই মহিলার স্বামী ইউনুস মিয়া সহ ওনার পরিবারের লোকজন মৃতদেহটি ইয়াসমিন খাতুনের বলে সনাক্ত করে। পরে পুলিশ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে হাঁপানিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয় ময়নাতদন্তের জন্য। জানা গেছে এই ব্যাপারে আমতলী থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। রবিবার মহিলার মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর ওনার পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিকে ইয়াসমিন খাতুনের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।