ধর্মনগরে কংগ্রেস–বিজেপি উত্তেজনা, বাড়ছে অস্থিরতা

2 Min Read

ধর্মনগর আবারও উত্তপ্ত — কংগ্রেস–বিজেপি মুখোমুখি, দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিবেশ

কংগ্রেস ভবনে পরপর আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার ফের রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ধর্মনগর। সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কংগ্রেস বিধায়ক বিরোজিত সিনহা ও কংগ্রেস নেতা বদরুল জামান।

তাঁদের নেতৃত্বে জেলা কংগ্রেস ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঘুরে দেখেন জেলা নেতৃত্ব কেবল কান্তি নন্দি সহ একাধিক পদাধিকারী।পরিদর্শনের পর গোটা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে বিরোজিত সিনহা ও দলের প্রতিনিধিরা যান উত্তর জেলা পুলিশ সুপার অভিনাশ রায়ের দপ্তরে। সেখানে পৌঁছাতেই পরিস্থিতি ঘোর অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।

অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ সুপারের অফিস সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের ভিড় দেখতে পেয়ে কংগ্রেস কর্মীরাও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মুহূর্তে দুই দলের মধ্যে স্লোগান–পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। যদিও পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ সুপার দপ্তরে উপস্থিত হন বিজেপি নেতৃত্ব—জেলা সভাপতি কাজল দাস, জহর চক্রবর্তী, জগৎজ্যোতি দেব, যুব মোর্চা নেতা রাহুল কিশোর রায় সহ অনেকে। পরে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলও সংগঠিত হয়।

অভিযোগ তোলেন কাজল দাস—“কংগ্রেস বিধায়ক বিরোজিত সিনহার অনুগামীরা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। গত দুই–তিন দিন ধরে কংগ্রেস ও সিপিএম মিলে ধর্মনগরের শান্ত পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

অন্যদিকে, কংগ্রেস বিধায়ক বিরোজিত সিনহা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তীব্র সুরে বলেন—বিজেপির নামধারী দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস ভবনে আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে। পুলিশের সামনেই সবকিছু ঘটেছে। আমরা জেলা পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”

তিনি আরও দাবি করেন, সিপিএম-এর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও হামলা চালিয়েছিল বিজেপি ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীরা।জেলা পুলিশ সুপার অভিনাশ রায় জানান,ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে। তদন্তে যা উঠে আসবে, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

গত তিন দিনের টানটান রাজনৈতিক অস্থিরতায় উত্তর জেলার সদর শহর ধর্মনগর কার্যত অশান্ত হয়ে উঠেছে। একসময়ের ‘শান্তির শহর’ নামে পরিচিত ধর্মনগরে রাজনৈতিক সংঘাতের চিত্রে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version