প্রোমো ফেস্টের পাস নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ বিলোনিয়ায়

3 Min Read

বিলোনিয়ায় উৎসবের আনন্দ ফিকে, প্রোমো ফেস্টের পাস নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ

উৎসবের আমেজের মাঝেও ক্ষোভের আগুন

দক্ষিণ Tripura-র বিলোনিয়া শহর এখন উৎসবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। উপলক্ষ্য, বহুল প্রতীক্ষিত প্রোমো ফেস্ট। এই উৎসবকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহের কোনো কমতি নেই। বিশেষ করে, জনপ্রিয় শিল্পীদের অনুষ্ঠান সরাসরি দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না কেউই। কিন্তু এই উৎসবের আনন্দ শুরুতেই যেন ফিকে হতে বসেছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রোমো ফেস্টের পাস সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কালোবাজারিরা এর পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে ফেরা

উৎসবের পাস সংগ্রহের জন্য ভোর থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অনেকের ভাগ্যেই জুটছে না একটি পাস। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা— তবুও অপেক্ষার শেষ হচ্ছে না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যখন কাউন্টার থেকে জানানো হচ্ছে পাস শেষ, তখন স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ, যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও পাস মিলছে না, সেখানে বাইরে দিব্যি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সেই একই পাস।

কালোবাজারির অভিযোগ এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দানা বেঁধেছে এই কালোবাজারির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে পাস ছাপানো সত্ত্বেও কেন তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না? কীভাবে এই পাস কালোবাজারিদের হাতে চলে যাচ্ছে? এই ঘটনার পেছনে কারা জড়িত, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এই কালোবাজারি রুখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না। ফলে, উৎসবের আনন্দ উপভোগ করার পরিবর্তে, পাস জোগাড় করতেই গলদঘর্ম হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতি উৎসবের মূল উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

সাধারণ মানুষের একটাই দাবি

বিলোনিয়ার সাধারণ মানুষের দাবি অত্যন্ত স্পষ্ট। তারা চায়, এই কালোবাজারি অবিলম্বে বন্ধ হোক এবং প্রত্যেকে যেন ন্যায্যভাবে উৎসবের পাস সংগ্রহ করতে পারে। উৎসব হোক সকলের জন্য, কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মুনাফা লোটার জন্য নয়। আয়োজক এবং প্রশাসনের কাছে তাদের আবেদন, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে বিলোনিয়ার মানুষকে উৎসবের নির্মল আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ করে দেওয়া হোক। अन्यथा, এই প্রোমো ফেস্ট আনন্দের পরিবর্তে মানুষের মনে ক্ষোভ এবং হতাশারই জন্ম দেবে।

 

 

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version