মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন সল্টলেকের প্রৌঢ় শিক্ষক দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির সামনে সন্দেহজনক গতিবিধির অভিযোগে তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে বৈধ কাগজপত্র যাচাই করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ৫১ বছর বয়সী দেবাঞ্জন লিলুয়ার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন এবং শ্রীরামপুর রাইফেল ক্লাবের সদস্য। তাঁর ব্যাগে ছিল একটি এয়ারগান, যার বৈধ নথিও তিনি পুলিশের কাছে পেশ করেন।
দেবাঞ্জনের দাবি, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। গাড়ি থেকে নামার আগে নিরাপত্তারক্ষীদের এয়ারগান দেখিয়ে জমা দিই। তবুও আমাকে আটকানো হয়। কেউ খারাপ ব্যবহার করেননি, কিন্তু ছয় ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।”
তিনি জানান, তাঁর পিতা রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন। পিতৃবিয়োগের পরও সরকারি প্রকল্পের টাকা না পাওয়ায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাতে গিয়েছিলেন। এছাড়াও আরও একটি ব্যক্তিগত আবেদন ছিল, যা তিনি প্রকাশ করেননি।
উল্লেখ্য, এটি দেবাঞ্জনের প্রথম প্রচেষ্টা নয়। ২০২৫ সালের মার্চ মাসেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে একটি আসনের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাতে, তবে সে বারও তাঁকে পথেই আটকানো হয়েছিল।