বিশালগড়—ত্রিপুরা রাজনীতির এক বিশেষ কেন্দ্রবিন্দু। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো ইস্যুতে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে এই শহর। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই স্বদলীয় গোষ্ঠী কোন্দল এখানে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তবে এবারে সেই কোন্দলের আঁচ এসে পড়ল দুর্গোৎসবের শুভক্ষণেও।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শারদীয়া দুর্গোৎসব ঘিরে রাজ্যের সর্বত্র নেতানেত্রীদের শুভেচ্ছা ফ্লেক্সে ভরে ওঠে। বিশালগড়ে বিধায়ক সুশান্ত দেব এবং TIDC চেয়ারম্যান নবাদল বণিকও একইভাবে শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু রবিবার গভীর রাতে আচমকাই দেখা যায়, নবাদল বণিকের দুর্গোৎসব উপলক্ষে দেওয়া শুভেচ্ছা ফ্লেক্সগুলো ভেঙে চুরমার করে জাতীয় সড়কে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মা দুর্গার ছবিও তাতে রেহাই পাননি।
ঘটনার খবর পেয়ে বিশালগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও দোষীদের ধরা পড়া নিয়ে জনমনে রয়েছে সন্দেহ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি নিছকই স্বদলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। ফলে রাতারাতি উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশালগড়ে।
ঘটনার পর শাসক দলের একাংশ কার্যকর্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন—কেউ দিল্লি রিপোর্টের হুমকি দেন, আবার কেউ বলেন, “বিশালগড়ে একজনই জননেতা থাকবে।” যদিও প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউই।
একথা বলাই যায়, রাজনীতির আঁচে এবার দুর্গোৎসবের পবিত্রতাও ক্ষুণ্ণ হলো। বিশালগড়ের মানুষজন তাই প্রশ্ন তুলছেন—দলীয় কোন্দলেই কি ম্লান হয়ে যাবে উৎসবের আবহ?