ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সীমান্তরক্ষীর মৃত্যু।

2 Min Read

সাব্রুম সীমান্তে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জবানের আত্মহত্যা, শোক মহকুমা জুড়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি – সাব্রুম
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্মরত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ান নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমার অন্তর্গত মেরুপাড়া বর্ডার আউটপোস্টে।

মৃত জওয়ানের নাম উগ্রা রাম। তিনি বিএসএফের ১২১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে কর্মরত একজন কনস্টেবল ছিলেন। উগ্রা রামের বাড়ি ভারতের রাজস্থান রাজ্যে। আজ তিনি ডিউটিতে থাকাকালীন হঠাৎ করেই নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করেন। গুলির শব্দ শুনে সহকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তার দেহ উদ্ধার করে বিলোনিয়া কিংবা শান্তির বাজার হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার খবর পেয়ে মনুবাজার থানার পুলিশ ও শ্রীনগর আউটপোস্টের পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর বিএসএফের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক অশান্তিই এই আত্মহত্যার মূল কারণ।

এই ঘটনা আবারও সামনে নিয়ে এসেছে যে, দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত জওয়ানদের ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক চ্যালেঞ্জ থাকে। যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখছেন, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক চাপ সামলানোর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্তব্যরত অবস্থায় একজন জওয়ানের আত্মহত্যা শুধু একটি বিয়োগান্তক ঘটনাই নয়, এটি তাদের জীবনের কঠিন বাস্তবতারও প্রতিফলন।

বিএসএফ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে। তারা উগ্রা রামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মানসিক অবস্থার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে, জওয়ানদের মানসিক চাপ মোকাবিলায় আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে জন্য বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছেন।

এই ঘটনাটি শুধু ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় নয়, সমগ্র দেশেই শোকের আবহ তৈরি করেছে। দেশের সুরক্ষায় নিয়োজিত একজন কনস্টেবলের এই করুণ পরিণতি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। তার মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version