কলকাতা থেকে ত্রিপুরাগামী WN 25N-4370 নম্বরের একটি খুচরো সামগ্রী বোঝাই ছয় চাকার লরি চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টে পৌঁছালে গেট ইনচার্জ প্রণব মিলির নেতৃত্বে দলবল নিয়ে গাড়িটি তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশির সময় বিভিন্ন সামগ্রীর আড়াল থেকে ভোজ্য তেলের টিনের ভিতর লুকানো ৩০,৪৩০ বোতল নেশাজাতীয় এসকফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এর কালোবাজারি মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।
ঘটনায় আটক করা হয়েছে লরির চালক হামিনুর ইসলাম ও সহ চালক শেখ আলামিনকে। তারা পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার দেওগঙ্গা থানার অন্তর্গত শিমুলিয়ার বাসিন্দা। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ধরনের গন্ধবিহীন কফ সিরাপের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। সেখানকার বাজারে প্রতিটি বোতল ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অভিযোগ উঠেছে, ত্রিপুরাকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে এই নেশাজাতীয় দ্রব্য বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে।