অপারেশন সিঁদুর, মাত্র ২৫ মিনিটে ইতিহাস

2 Min Read

অপারেশন ‘সিঁদুরে’—মাত্র ২৫ মিনিটে ইতিহাস গড়ল ভারতীয় সেনা!

রাত ১টা ৫ মিনিট—ঘুমিয়ে পড়েছিল বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু সেই মুহূর্তে ভারতীয় সেনার এক ঝাঁক যোদ্ধা শুরু করল ইতিহাস গড়ার এক ভয়ঙ্কর অভিযান।
মাত্র ২৫ মিনিটে ২৪ বার আঘাত! নিশানায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি
এই স্পেশাল মিশনের নাম—‘অপারেশন সিঁদুরে’


মিশন শুরু, রাতের অন্ধকারে বাজ পড়ল…

▶️ রাত ১টা ৫ মিনিটে শুরু
▶️ রাত ১টা ৩০ মিনিটে শেষ
▶️ মাত্র ২৫ মিনিটে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস
▶️ ৭০ জনের বেশি জঙ্গি নিহত (সরকারি সূত্র অনুযায়ী)
▶️ ২৪টি আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত এলাকা

ভারতের তরফে কোনও সরকারি বিবৃতি না এলেও, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার কথা।
পাক সেনার মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর ইস্ট শহরে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে দু’টি তিন বছরের শিশু, সাতজন নারী ও চারজন পুরুষ


কোথায় কোথায় আঘাত?

🔴 পাকিস্তানের চারটি শহর:

  • বাহাওয়ালপুর

  • মুরিদকে

  • সিয়ালকোট

  • কোটলি

🔴 পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পাঁচটি অঞ্চল:

  • মুজফ্‌ফরাবাদ

  • গুলপুর

  • ভীমবের

  • চাক আমরু

  • বাগ

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ৯টি জায়গা চিহ্নিত করেছিল। সেই ইনপুট পৌঁছায় সেনার কাছে। তারপরেই রাত নেমে আসে প্রত্যাঘাতের।


যে অস্ত্রে পাল্টা আঘাত…

এই অভিযানে ভারত ব্যবহার করে অত্যাধুনিক SCALPHAMMER মিসাইল। নিশানা ছিল নিখুঁত।

বিশেষভাবে লক্ষ্য ছিল:

  • জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর – বাহাওয়ালপুরের কাছে, ১৫ একর জায়গা জুড়ে থাকা প্রশিক্ষণ ও প্রচারকেন্দ্র।

  • লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটি – মুরিদকে শহর, হাফিজ সঈদের মূল ঘাঁটি।

খবরে প্রকাশ, এই হামলায় মাসুদ আজ়হারের পরিবারের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।


শেষ কথা?

এই অভিযান কোনও সাধারণ অপারেশন নয়। এটি এক স্পষ্ট বার্তা—সন্ত্রাসের উৎসস্থলেই এবার বাজ পড়বে। আর ভারতের হাতে এখন শুধু ইচ্ছাশক্তিই নয়, আছে যথেষ্ট শক্তিও।

Share This Article
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version