ভলেন্টারি হেলথ এসোসিয়েশন অফ ত্রিপুরা পরিচালিত উন্মেষ হোমের দায়িত্ব জ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড সামনে উঠে আসলো!
উন্মেষ হোমটি বিশালগড় মহাকুমার অন্তর্গত গকুলনগর সিটি আই ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। জানা গেছে কৈয়াঠেপা মুন্ডা বস্তি এলাকার ১০-১২ বছরের ১ নাবালক ছেলেকে তার মা সঠিক লালন পালনের জন্য নেহার চন্দ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের অজিত বিশ্বাসের বাড়িতে তুলে দেয় এবং তারপর থেকে অজিত বিশ্বাসের পরিবার নিজের পরিবারের মতো করে তাকে লালন-পালন করা শুরু করে। তারপর আজ থেকে চার মাস আগে হঠাৎ সিপাহীজলা জেলার চাইল্ড লাইনের কর্মীরা এসে উপস্থিত হয় অজিত বিশ্বাসের বাড়িতে। চাইল্ড লাইনের কর্মীরা ওই নাবালক ছেলেটিকে উদ্ধার করে গোকুলনগর সিটি আই ক্যাম্প সংলগ্ন উন্মেষ হোমে নিয়ে যায়। তারপর থেকে সে হোমে অবস্থান করছিল। রুমে থাকা অবস্থায় ওই নাবালক ছেলেটিকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেনি। তাকে স্কুলে পর্যন্ত ভর্তি করানো হয়নি এবং তার শরীরে ছোট ছোট কালো দাগ দেখা দিয়েছে যার থেকে রাতের বেলা চুলকানি শুরু হয় কিন্তু হোম কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসা করানোর দরকার বলে মনে করেনি। অবশেষে শুক্রবার সকালে এই নাবালক ছেলেটি আরেকটি উপজাতি নাবালক ছেলেকে নিয়ে হোম থেকে পালিয়ে সোজা অজিত বিশ্বাসের বাড়িতে এসে হাজির হয়। সকাল সকাল দুই নাবালক ছেলেকে দেখতে পেয়ে অজিত বিশ্বাস সহ উনার পরিবারের লোকজন হতবাক হয়ে যায়। পরে তারা হোম কর্তৃপক্ষদের বিষয়টি জানালেও দুপুর ঘুমিয়ে আসলেও হোম কর্তৃপক্ষদের দেখা মিলেন। পালিয়ে আসা দুই নাবালক ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা উন্মেষ হোম এর দায়সারা কার্যকলাপের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে। এদিন অজিত বিশ্বাসের পরিবারের এক ব্যক্তি সহ স্থানীয় এলাকাবাসীর ও সাংবাদিকদের সামনে উন্মেষ হোম এর এই দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। যেখানে অনাথ শিশুদের একমাত্র আশ্রয়ের ভরসা স্থল হল হোম কিন্তু সেই হোম যদি ছোট ছোট শিশুদের সাথে এই ধরনের আচরণ করে এবং স্কুলে ভর্তি না করিয়ে শিশুদের মূর্খ বানানোর চেষ্টা করে তাহলে আগামী দিনের সেই হোম আর কোন অনাথ শিশু যেতে চাইবে না। রাজ্যে রয়েছে শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন এবং সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর, তারা কি এই উন্মেষ হোম এর এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। খবর লেখা পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া ২ নাবাল ক শিশুকে ফিরিয়ে নিতে আসেনি উন্মেষ হোম কর্তৃপক্ষ।