মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির প্রতি অমানবিক আচরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সোনামুড়া নগরের এডুকেশন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের কমিশনার রাকেশ ঘোষ। চন্দন সিং নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে রাতের বেলায় বেদম মারধরের অভিযোগ উঠল কমিশনারের বিরুদ্ধে।প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে থানায় মামলা করলো পরিবার।জানাযায় গতকাল সন্ধ্যা রাতে ওই এলাকারই একটা দোকান থেকে ঠান্ডা পানীয় কিনে রাস্তায় রাখা কমিশনার বাবুর গাড়ির পেছনে বসে ঠান্ডা পান করছিল কিন্তু সেই সময়ে হঠাতই তাকে লক্ষ্য করে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কমিশনার বাবু, সঙ্গে সঙ্গে তাকে গালিগালাজ থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে। অভিযোগ উঠে নিজের পরনের বেল্ট খুলে পর্যন্ত মেরেছে মানসিক ভারসাম্যহীন চন্দন শিংকে। যদিও ঘটনার কিছু সময় পরেই প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ একজন পরিবারের লোকেদের বিষয়টি জানায় কিন্তু ওই রাতে ভীত সন্ত্রস্ত চন্দনকে খুঁজে না পেয়ে আজ সকালেই তার পরিবারের লোকেরা তাকে আহত অবস্থায় সোনামুড়া সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তার চিকিৎসা করিয়ে সোনামুড়া থানায় অভিযুক্ত কমিশনার রাকেশ ঘোষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে, এ বিষয়ে এলাকাবাসীদের সঙ্গে আসা চন্দন সিনিয়র ছোট ভাই দীপক সিং সংবাদ প্রতিনিধিদের সামনে ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আর্জি জানান।যদিও এলাকাবাসীর অভিমত এখন অব্দি ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি চন্দন শিং এর দ্বারা কোন অনিষ্ট হয়নি ওই এলাকাবাসীর। তাহলে কেন এই সাধারন মানুষটির উপর বর্তমান শাসক দলের সমাজসেবীর নামধারী এই কমিশনার বাবু এই আচরণ করলেন। ঘটনায় এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। অখিরে এই রোদ্দিমার্কা নেতা বাবুদের কারণে ই সোনামুড়া বিধানসভা আসনটি তে পদ্ম ফুটাতে দ্বিতীয়বারেও ব্যর্থ হয়েছে শাসক দল। এখন দেখার এই নেতা বাবুকে কে আইনের আওতায় আনবে পুলিশ নাকি অভিযোগ সর্বস্বই থেকে যাবে।