🚨 “রক্ষক না ভক্ষক?” — ইয়াবা ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে পুলিশি ছিনতাইয়ের শিকার বক্সনগরের যুবক!
📍 ঘটনাস্থল: আমবাসা থানার নাকা পয়েন্ট
🗓️ তারিখ: ১১ এপ্রিল ২০২৫
👤 ভুক্তভোগী: ঝন্টু দাস, বয়স ৩৫, বাসিন্দা উত্তর কলমচৌড়া বড়মুড়া, পিতা: মৃত প্রফুল্ল দাস
🛑 ঘটনার সারাংশ:
ত্রিপুরায় ফের প্রশ্ন উঠলো—পুলিশ কি সত্যিই সাধারণ মানুষের রক্ষক?
বক্সনগরের যুবক ঝন্টু দাসের অভিযোগ শুনে চমকে উঠছে গোটা আমবাসা মহকুমা। অভিযোগ অনুযায়ী, পুলিশ কর্তৃক নিছক সন্দেহের বশে তাঁকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়, এরপর ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
🔍 ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ:
গত ১০ এপ্রিল, ঝন্টু দাস আসামের করিমগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে যান একটি সেকেন্ড-হ্যান্ড গাড়ি কেনার উদ্দেশ্যে। কিন্তু গাড়িটি অপছন্দনীয় হওয়ায় তিনি তা না নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান।
পরদিন সকালে নিজের গাড়িতে করে ত্রিপুরায় ফেরার পথে বিভিন্ন নাকা পয়েন্ট নির্বিঘ্নে পার হলেও আমবাসা থানার অধীনে আমপাশা নাকা পয়েন্টে বিপত্তি ঘটে।
👮 পুলিশি হয়রানি ও ভয়াবহ অভিযোগ:
নাকা পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কোনো কিছু না পেলেও, ঝন্টু দাসকে একটি ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে নির্মম মারধর করা হয়।
তিনি জানান,
“আমাকে লাথি মেরে বলছিল, ইউ লাথি, কিউ চোর! আমার কোনো দোষ ছিল না!”
এরপর পুলিশ সদস্যরা তার গাড়ির ঢিগি খুলে ইয়াবা ট্যাবলেট হাতে দিয়ে মিথ্যা ভিডিও ধারণ করে।
এবং ভয় দেখায়:
“ভিডিওটা দেখিয়ে তোকে মাদক মামলায় ঢুকিয়ে দেব!”
এরপরই পুলিশ সদস্যরা তার কাছে থাকা গাড়ি কেনার জন্য সংগৃহীত ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।
🗣️ ওসির ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে:
রাত প্রায় ২টার দিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হলে ওসি নন্দন দাস তাকে গালিগালাজ করে ছেড়ে দেন।
ঝন্টু দাস বলেন:
“এই ঘটনার পর শুধু আমি নয়, আমার পরিবারের প্রতিটা সদস্য আতঙ্কে রয়েছি। রক্ষকদের হাতেই যদি নিরাপত্তা না থাকে, তবে ন্যায়বিচার কোথায়?”
🧭 জনগণের প্রশ্ন: নেশা দমনে নাকি ব্যবসায় সহযোগী পুলিশ?
ঝন্টু দাসের বক্তব্য অনুযায়ী, “নেশামুক্ত ত্রিপুরা” গড়ার স্বপ্নকে ব্যর্থ করছে এই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যরা। স্থানীয়দের মতে, নাকা পয়েন্টগুলির আড়ালে প্রতিদিন নেশা সামগ্রীর অবাধ যাতায়াত চলছে, আর সেসব বন্ধ না করে কিছু পুলিশ বরং কমিশনের খেলা খেলছে।
⚖️ ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ ও দাবি:
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা এই ঘটনার:
-
✅ দ্রুত তদন্ত
-
✅ দায়ী পুলিশদের বরখাস্ত
-
✅ টাকা ফেরতের নিশ্চয়তা
-
✅ ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি
এইসব দাবি জানিয়েছে। ঝন্টু দাস স্পষ্ট জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি ত্রিপুরা হিউম্যান রাইটস কমিশন, পুলিশ অ্যাকাউন্টেবিলিটি কমিশন, এবং ধলাই জেলার এসপি-র কাছে যাবেন।