সিপিআই(এম) দলের বিধায়ক ইসলাম উদ্দিনের ভাতিজা ও তার সাগরেদ কর্তৃক চৌদ্দ বছরের নাবালিকা ধর্ষনের চব্বিশ ঘণ্টার মাথায় মাঠে নামলো মহিলা মোর্চার নেত্রীরা।নির্যাতিতার পাশে থাকা সহ দাবি তুললেন কঠোর শাস্তির।এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল গত শনিবার উত্তর উত্তর ত্রিপুরা জেলার ত্রিপুরা-অসম সীমান্তের কদমতলা থানা এলাকায়।প্রসঙ্গত,গত শনিবার রাত আটটা নাগাদ সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া চৌদ্দ বছরের এক নাবালিকা পাশের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবার সময় মাঝ রাস্তায় তাকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে কুর্তি মাদ্রাসার নব নির্মিত হোস্টেলে একাধিকবার ধর্ষণ করে কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআই (এম) দলের বিধায়ক ইসলাম উদ্দিনের ভাতিজা ইমরান হোসেন (৩৫,পিতা হাবিবুর রহমান) ও তার সাগরেদ ষোল বছরের এক নাবালক।উভয়ের বাড়িই কদমতলা থানাধীন কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ঢেউ বাড়ি এলাকায়।পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ অভিযুক্ত ইমরানকে গ্রেফতার করলেও অপর অভিযুক্ত ষোল বছরের নাবালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে নির্যাতিতার তরফে এদিন রাতেই কদমতলা থানায় একটি গন ধর্ষনের মামলা দায়ের করা হয়।লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়ে ২৫ নম্বরের ১৩৭(২)/৭০(২)/৩(৫) ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬ অফ পক্সো ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।রবিবার সকালে ধৃত বিধায়কের ভাতিজাকে জেলা ও দায়রা আদালতে সোপর্দ করলে মাননীয় বিচারক আগামী আটাশ তারিখ পর্যন্ত তাকে জেল হাজতের নির্দেশ দেন।পাশপাশি পলাতক নাবালকের বাবাকে থানায় এনে নাবালকের খোঁজে জোর জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।এদিকে রবিবার রাতে কদমতলা থানা ও নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে যান বিজেপি মহিলা মোর্চার উত্তর জেলার এক প্রতিনিধি দল।প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী রুপালি অধিকারী সহ অন্যান্যরা। তিনি নির্যাতিতা নাবালিকা ও তার পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি সহ গোটা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তক্রমে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেন