শিক্ষার আলো পৌঁছচ্ছে প্রত্যন্তে: গণ্ডাছড়ায় বিদ্যালয় ও হোস্টেল পরিদর্শনে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।
রাজ্যজুড়ে শিক্ষার পরিকাঠামো আধুনিকীকরণে জোর কদমে এগোচ্ছে বর্তমান সরকার। লক্ষ্য একটাই—শিক্ষা হোক সবার জন্য সহজলভ্য, গুণগত এবং যুগোপযোগী। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথ ধরে এবার গণ্ডাছড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যালয় ও ছাত্রাবাস পরিদর্শন করলেন রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও শিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা।
শনিবার গণ্ডাছড়া সফরে গিয়ে তিনি প্রথমে জগবন্ধু পাড়া হাই স্কুল এবং পরে গণ্ডাছড়া এসটি বয়েজ হোস্টেল ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীকে দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মেঝেতে বসে মন খুলে কথা বলতে। সরকারের উচ্চপদস্থ একজন প্রতিনিধি হয়েও তিনি শিক্ষার্থীদের একজন আপনজনের মতো পাশে দাঁড়ান—শোনেন তাদের দৈনন্দিন সমস্যার কথা, জানেন তাদের চাওয়া-পাওয়ার বাস্তব চিত্র।
বিদ্যালয় ও হোস্টেলের পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার চিত্র উঠে আসে সরাসরি ছাত্রছাত্রীদের মুখে। কোথাও পানীয় জলের অভাব, কোথাও পর্যাপ্ত বেঞ্চ বা ক্লাসরুমের সংকট, আবার কোথাও খেলাধুলার জন্য মাঠ নেই। বহু প্রতিষ্ঠানে এখনও মূলভিত্তির উন্নয়ন প্রয়োজন। মন্ত্রী স্বীকার করেন, “বিগত সরকারের সময়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অবহেলিত ছিল। কিন্তু এখন আর উপেক্ষার জায়গা নেই—এই সরকার পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে।”
বিকাশ দেববর্মা জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে একজন জনপ্রতিনিধির চেয়েও বেশি একজন ‘ভাই ও বন্ধু’ হয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকতে চান। তিনি বলেন, “প্রতিটি বিদ্যালয় ও হোস্টেলের সমস্যার বাস্তব চিত্র জানতে হলে মাঠে নামতে হয়, ফাইলে বসে সিদ্ধান্ত নিলে চলে না।”
শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগ ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-কেও মন্ত্রী বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই অনন্য উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে এক শিক্ষক বা অভিভাবকের মতো করে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। শেখার পথে ভয় নয়, প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস।”
অন্তরের টান ও দায়িত্ববোধ নিয়ে শিক্ষার অগ্রগতিতে মন্ত্রীর এই অংশগ্রহণ শিক্ষাজগতের পক্ষে নিঃসন্দেহে একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা বহন করে। আশাপ্রকাশ করা যায়, সরকারের এই মানবিক ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি আগামী দিনে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত খুলে দেবে